চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ৪৬.০৯ শতাংশ
চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া তিন জনই দামুড়হুদা উপজেলার বাসিন্দা। একই সময়ে আরও ৫৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে একদিনে সর্বোচ্চ। শনাক্তের হার ৪৬ দশমিক ০৯ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার রাতে কুষ্টিয়ার আরটি-পিসিআর ল্যাব থেকে ১২৮টি নমুনা পরীক্ষার ফল আসে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগে। নতুন শনাক্ত ৫৯ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ২৯ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৪ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৮ জন ও জীবননগর উপজেলার ৮ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪০১ জন। এরমধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১২১ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ২৭ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৬২ জন, জীবননগর উপজেলার ৮১ জন রয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আক্রান্ত ১২১ জনের মধ্যে ১৭ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন সদর হাসপাতালে ও বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০৩ জন। বাইরে রেফার্ড করা হয়েছে একজনকে। আলমডাঙ্গা উপজেলার আক্রান্ত ২৭ জনের মধ্যে ২০ জন বাড়িতে ও ৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রেফার্ড করা হয়েছে একজনকে। দামুড়হুদা উপজেলার আক্রান্ত ১৬২ জনের মধ্যে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৪৮ জন ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১২ জন। বাইরে রেফার্ড করা হয়েছে ২ জনকে। এছাড়া জীবননগর উপজেলার আক্রান্ত ৮১ জনের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন একজন ও বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮০ জন।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান জানান করোনায় আক্রান্তেদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রয়েছে। অক্সিজেনেরও এখন পর্যন্ত কোনো সঙ্কট নেই।
এদিকে, করোনার সংক্রমণ বাড়ায় ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করা হয়েছে ভারত সীমান্তবর্তী পুরো দামুড়হুদা উপজেলা। সেখানে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো চলছে কঠোর লকডাউন। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন।
এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪০৪ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হয়েছেন ৪০ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯২৯ জন।
Comments