বগুড়ায় চোর সন্দেহে যুবকের পায়ে পেরেক পুতে নির্যাতনের অভিযোগ
বগুড়ার কাহালু উপজেলার অহর মালনচা গ্রামের এক যুবককে চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পায়ে পেরেক এবং সুচ ফুটিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে তার পাঁচ প্রতিবেশীর ওপর।
এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
আহত আতাউর রহমান শিরু (৩০) বর্তমানে কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
তার বাবা মজনু সোনার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমার বাড়িতে গত রাত ৩টার সময় আট জন প্রতিবেশী এসে আমার ছেলেকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে ঘুম থেকে ছেলেকে আমি ডেকে তুলি। সেলিনা নামের এক নারী আমার ছেলেকে বলতে থাকেন, তুই আমার বাড়ি থেকে গ্যাস সিলিন্ডার চুরি করে এনেছিস। সেটা কোথায় আছে? এসব বলে চার-পাঁচ জন তাকে মারতে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক পর্যায়ে মাটিতে পরে গেলে তারা আমার ছেলে কাঁধে তুলে সেলিনার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে জামিরুল, সেলিনা, তার বোন আছিয়া, রনি এবং সেলিনার মা তাকে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তার বাম পায়ের ওপর হাতুড়ি দিয়ে একটি পেরেক মারে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সুচ ফুটিয়ে দেয়।’
গ্রামপুলিশের সাহায্য নিলে সকাল ৮টার পরে থানা থেকে পুলিশ এসে তার ছেলেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে বলে জানান মজনু সোনার।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘দুপুর ৩টায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত নির্যাতনকারীদের ধরতে পারেনি।’
কাহালু থানার ওসি আম্বার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি বিকেলে। নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
শিরুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আগাতের চিহ্ন থাকলেও তা খুব গুরুতর নয় জানিয়ে ওসি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে একটি চুরি এবং একটি মাদকের মামলা আছে।’
কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জাকিয়া তাসনিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শিরুর বাম পায়ের ওপর পেরেকের মতো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে এবং ডান হাতেও ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। তবে সেগুলো গুরুতর নয়। এখন সে বিপদমুক্ত।’
Comments