গোটা দল নিয়ে রোনালদোকে মোকাবিলার ভাবনা জার্মান কোচের
হার দিয়ে ইউরো শুরু করা জার্মানির সামনে রয়েছে আরেকটি কঠিন পরীক্ষা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিযোগিতার শিরোপাধারী পর্তুগালের মুখোমুখি হবে তারা। সে লড়াইয়ে উতরে যেতে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে বাড়তি সতর্কতার কথা জানালেন দলটির কোচ ইওয়াখিম লুভ। তারকায় ঠাসা পর্তুগিজরা যে কারও একার নৈপুণ্যের ওপর নির্ভরশীল নয়, সেটাও শিষ্যদের মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
শনিবার জার্মানির মিউনিখে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়। এই ভেন্যুতেই বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে জার্মানি ১-০ গোলে হেরেছে। অন্যদিকে, পর্তুগাল হাঙ্গেরির মাঠে ৩-০ গোলে জিতে শুভ সূচনা করেছে এবারের আসরে।
জিতলেই রোনালদোরা পেয়ে যাবেন শেষ ষোলোর টিকিট। নকআউট পর্বে জায়গা করে নেওয়ার দৌড়ে থাকতে জার্মানদেরও বিকল্প নেই জয়ের।
রোনালদোর কোকাকোলা কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে লুভ প্রশংসায় ভাসান পর্তুগিজ দলনেতাকে, ‘কেবল কোকাকোলার বোতল সরিয়ে রাখার চেয়ে অনেক বেশি কিছু করতে পারে রোনালদো। তার আরও অনেক দক্ষতা আছে। সে স্পেশাল সব গোল করতে পারে। ডান ও বাম উভয় পায়ে সে নিখুঁত। সে হেডেও দারুণ।’
ইউরোর ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোকে আটকানোর কৌশলের ধারণাও দেন জার্মান কোচ, ‘অবশ্যই, সে নিজে নিজে সবকিছু করে ফেলতে পারে না। তবে তার বিপরীতে একজন ডিফেন্ডার রাখলেই আমাদের চলবে (ভাবলে হবে না)। আমাদের মনোযোগী হতে হবে। আমাদের আরও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা জানি, (আক্রমণে ওঠার সময়) সে কীভাবে দৌড়ে যায়। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। তাকে মোকাবিলা করতে হবে গোটা দল নিয়ে।’
তবে পর্তুগাল এখন আর কেবল রোনালদোর দিকে তাকিয়ে থাকে না বলেও মন্তব্য করেন লুভ, ‘পর্তুগাল কি কেবল একজনের ওপর নির্ভরশীল? হ্যাঁ। ২০১২, ২০১৪ কিংবা ২০১৬ সালে তারা এরকম ছিল। সে ব্যক্তিটি ছিল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। সে-ই ছিল পর্তুগালের মূল ব্যক্তি। কিন্তু সেই অবস্থা পাল্টে গেছে। এখন তাদের সেরা মানের অনেক খেলোয়াড় রয়েছে। বার্নার্দো (সিলভা), (ব্রুনো) ফার্নান্দেস, জোয়াও ফেলিক্স, (দিয়োগো) জোতাসহ আরও অনেকে। রোনালদোর মতো তারাও আক্রমণে সমপরিমাণে অংশ নেয়।’
উল্লেখ্য, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের পর দায়িত্ব ছাড়ছেন লুভ। ২০১৪ সালে জার্মানিকে বিশ্বকাপ জেতালেও গত কয়েকটি বছর ভালো কাটেনি তার। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে তার দল বাদ পড়ে প্রথম রাউন্ড থেকে। উয়েফা নেশন্স লিগের প্রথম আসরে (২০১৮-১৯) নিজেদের গ্রুপের তলানিতে ছিল জার্মানরা। পরের আসরেও (২০২০-২১) তারা নকআউটে পৌঁছাতে পারেনি।
Comments