কুড়িগ্রামে শনাক্তের হার ৭৫ শতাংশ, পৌর এলাকায় চলাচলে বিধিনিষেধ
দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী কুড়িগ্রাম জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, শনাক্তের হার ৭৫ শতাংশ।
আজ শনিবার কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল শুক্রবার শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ ছিল বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, করোনা শনাক্তদের অধিকাংশই কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার বাসিন্দা।
এ অবস্থায় সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে আজ শনিবার বিকাল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত পৌর এলাকায় চলাচলের ওপর বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কুড়িগ্রাম শহরে করোনা সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে আজ শনিবার বিকাল থেকে সাত দিনের জন্য পৌর এলাকায় চলাচলের ওপর বিশেষ বিধিনিষেধ চলছে। করোনা শনাক্তের হার যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে এ পরিস্থিতি আরও আশঙ্কাজনক হতে পারে।’
‘সাধারণ মানুষ বিধিনিষেধ মেনে চললে হয়তো করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে আসবে,’ তিনি বলেন।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘কুড়িগ্রাম পৌরসভায় করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। করোনা সংক্রমণ কমাতে আজ শনিবার বিকাল থেকে সাত দিনের জন্য কুড়িগ্রাম পৌরসভাকে বিশেষ বিধিনিষেধের আওতায় আনা হয়েছে।’
তিনি জানান, বিধি-নিষেধ চলাকালে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সব ধরণের যানবাহন অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে কৈফিয়ত দিতে হবে। হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও, শুধুমাত্র পার্সেল সরবরাহ করতে পারবে।
তিনি আরও জানান, বিধিনিষেধ কার্যকর করতে শহরে প্রবেশের তিনটি পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেকপোস্টগুলো হলো-- রংপুর থেকে কুড়িগ্রামের প্রবেশমুখ ত্রিমোহনী বাজার, নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী যাওয়ার প্রবেশ পথ ধরলা ব্রিজ ও চিলমারী-উলিপুর উপজেলা যাওয়ার প্রবেশপথ টেক্সটাইল মুখ এলাকা।
‘চলাচলের উপর বিশেষ বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে,’ বলেন জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন:
Comments