সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৫০ শতাংশ

করোনায় ৩ ও উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ। একই সময়ে করোনায় তিন জন এবং উপসর্গ নিয়ে তিন জন মারা গেছেন।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসা কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সাতক্ষীরায় শনিবার সকাল আটটা থেকে রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ। এর আগের দিন এ হার ছিল ৬০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গতকাল ৯২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন জন মারা গেছেন। একই সময় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেওয়ার পথে তিন করোনা রোগী মারা যার। এ নিয়ে জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ২৭০ জন ও করোনাভাইরাসে ৬০ জনের মৃত্যু হলো।

সরেজমিনে সাতক্ষীরা শহর ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউন অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে চলছে। শহরে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, ইজিবাইক, মহেন্দ্র, ইঞ্জিনচালিত ভ্যান, মোটরসাইকেল ও সাইকেলসহ পায়ে হেঁটে মানুষ চলাচল করছেন। শহরের অনেক সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া থাকলেও তা মানছে না। কিছু কিছু দোকানও খোলা আছে। শুক্রবার জেলা প্রশাসন এক সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শনিবার সকাল আটটা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান খোলা থাকবে। তারপর জরুরি সেবা ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য কোনো দোকানপাট খোলা থাকবে না। এছাড়া জরুরি সেবাদান প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চলবে। অন্য কোনো গাড়ি চলবে না। কিন্তু, সেসব মানতে দেখা যাচ্ছে না।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডা. কুদরত-ই-খোদা জানান, তার ডেডিকেটেড হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ২৫০ জন। আজ রোববার সেখানে করোনা রোগী ভর্তি আছে ২২০ জন। চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতিদিন রোগী বাড়ছে। যে হারে রোগী বাড়ছে তাতে ৫০০ শয্যাও কিছু হবে না।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago