যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর আ. লীগ সভাপতির গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তার অভিযোগ, কমলনগর উপজেলা যুবলীগ নেতা ফয়সাল আহম্মেদ রতন হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর অভিযোগ, কমলনগর উপজেলার যুবলীগ নেতা ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফয়সাল আহম্মেদ রতনের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে।
আজ জেলার কমলনগর ও রামগতি উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণের দিন ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, শুরু থেকেই পিংকু তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মির্জা আশরাফুল জামাল রাসেলের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
পিংকুর বক্তব্য, দুপুর একটার দিকে তিনিসহ আরও কয়েক জন নেতা-কর্মী উত্তর চরপাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অদূরে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে চা পান করছিলেন। এ সময় দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও যুবলীগ নেতা ফয়সাল আহম্মেদ রতনের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একদল সশস্ত্র যুবক ইউনিয়ন কার্যালয়ে হামলা চালাতে আসে।
পিংকু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হামলার সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের শাটার বন্ধ করে তালা মেরে দেয়। পরে আমার ওপর হামলা করতে ব্যার্থ হয়ে তারা (হামলাকারীরা) আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। ভাঙচুরে বাধা দিলে আমার গাড়িচালক মিজানকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করতে উদ্যত হয়।’
এ ছাড়া হামলাকারীরা উপস্থিত নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হলে অন্তত ১৫ জন আহত হন বলে দাবি করেন পিংকু। তিনি বলেন, ‘আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্যই এই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।’
অবশ্য যুবলীগ নেতা ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল আহম্মেদ রতন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার ভাষ্য, হামলার সময় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তাকে ফাঁসানোর জন্যই এ ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে।
হামলার বিষয়ে অবগত থাকার কথা জানিয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments