বিদেশি কর্মীদের জন্য ওয়াশিংটন-দুবাইয়ের চেয়েও ব্যয়বহুল ঢাকা
ওয়াশিংটন ডিসি ও দুবাইয়ের চেয়েও ঢাকা শহর বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের জন্য বেশি ব্যয়বহুল। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য যেকোনো শহরের চেয়ে ঢাকা বিদেশি কর্মীদের জন্য বেশি ব্যয়বহুল।
নিউইয়র্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মার্সার চলতি বছরের ‘কস্ট অব লিভিং’ জরিপে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিদেশি নাগরিকদের বসবাসের খরচের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এই তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৪০তম।
এ বছর বিদেশিদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হিসেবে জায়গা পেয়েছে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদ। এরপর শীর্ষ দশে থাকা শহরগুলো হচ্ছে যথাক্রমে- হংকং (চীন), বৈরুত (লেবানন), টোকিও (জাপান), জুরিখ (সুইজারল্যান্ড), সাংহাই (চীন), সিঙ্গাপুর, জেনেভা (সুইজারল্যান্ড), বেইজিং (চীন) ও বার্ন (সুইজারল্যান্ড)।
মার্সারের জরিপ অনুযায়ী, তালিকায় ঢাকার পরে জায়গা পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই (৪২), থাইল্যান্ডের ব্যাংকক (৪৬), যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি (৫১), স্পেনের মাদ্রিদ (৬৭), পর্তুগালের লিসবন (৮৩), কাতারের দোহা (১৩০) সহ বিশ্বের ১৬৯টি শহর।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ঢাকার পরে সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর ভারতের মুম্বাই (৭৮)। এরপরই তালিকায় আছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন (১০৪), ভারতের নয়া দিল্লি (১১৭), চেন্নাই (১৫৮), বেঙ্গালুরু (১৭০), কলকাতা (১৮১), পাকিস্তানের ইসলামাবাদ (১৯৯) ও করাচি (২০১)।
বিদেশি নাগরিকদের জীবনযাত্রার খরচের ওপর মার্সারের করা জরিপটিতে আবাসন, পরিবহন, খাদ্য ও বিনোদনসহ অন্যান্য খরচ বিবেচনায় নিয়ে ২০৯টি শহরকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটিকে বেসলাইন হিসেবে ধরে তুলনামূলক এ তালিকা করেছে মার্সার।
সিএনএন জানিয়েছে, গত বছরের মার্সার জরিপের সঙ্গে চলতি বছরের সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি হলো বৈরুতের তৃতীয় স্থানে উঠে আসা। ২০২০ সালে বিদেশি কর্মীদের জন্য ৪৫তম ব্যয়বহুল শহর ছিল বৈরুত। কোভিড -১৯ মহামারি ও গত বছরের আগস্টে বৈরুত বন্দরের বিস্ফোরণের পর দেশটিতে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে।
জরিপে বিদেশি কর্মীদের জন্য সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল শহরগুলো হলো- জর্জিয়ার তিলিসি, জাম্বিয়ার লুশাকা এবং কিরগিজস্তানের বিশিখ।
Comments