ফের মুনিমের ব্যাটে দ্যুতি, দোলেশ্বরকে হারিয়ে শীর্ষে আবাহনী
মন্থর উইকেট টি-টোয়েন্টির জন্য একেবারেই আদর্শ না। কঠিন সে উইকেটে ব্যাট করতে গিয়ে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদী হাসান রানা হয়ে উঠলেন হন্তারক। তাদের সামলে মাঝারি পুঁজি পেয়েছিল প্রাইম দোলেশ্বর। রান তাড়ায় নেমে লিটন দাসকে ছাপিয়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন মুনিম শাহরিয়ার।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির সুপার লিগের বুধবারের সন্ধ্যার ম্যাচ হয়েছে একপেশে। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টি আইনে ৮ বল আগে আবাহনী জিতেছে ৭ উইকেটে।
আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৩৫ রান করে দোলেশ্বর। আবাহনীর ইনিংসের ৫ ওভার পর নামা বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ৫০ মিনিট। ১৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৯১ রানের নতুন লক্ষ্যে যেতে খুব বেশ বেগ পেতে হয়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। দলকে জেতাতে ৩৪ বলে ৪৪ রান করেছেন দারুণ ছন্দে থাকা ওপেনার মুনিম।
এই জয়ে প্রাইম ব্যাংককে সরিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে আবাহনী।
১৩৬ রান তাড়ায় নেমে লিটন-মুনিমের জুটিতে আসে ভালো শুরু। চোট কাটিয়ে ফেরা লিটন ছন্দ পেতে কিছুটা ধুঁকছিলেন। মুনিম ছিলেন সাবলীল। আবারও দারুণ কিছু শট খেলেছেন তিনি।
নবম ওভারে গিয়ে লিটনের আউটে ভাঙ্গে ৬৬ রানের জুটি। রেজাউর রহমান রাজার বলে পেস বৈচিত্র্যে বিভ্রান্ত হয়ে লিটন সহজ ক্যাচ দেন মিড অফে। ফিফটির পথে থাকা মুনিম খেলা শেষ করে ফিরতে পারেননি।
অফ স্পিনার শরিফুল্লার বলে তার ইনিংসটি শেষ হয়েছে কট এন্ড বোল্ড হয়ে। ৩৪ বলে ৫ চারে ৪৪ করা এই তরুণ ধরে রাখলেন পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেলার ছন্দ।
এরপর দ্রুত ফিরে গিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে জেতার অনেক কাছে চলে গিয়েছিল তখন আবাহনী।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে সাইফ হাসানের আগ্রাসী মেজাজে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিল দোলে-শ্বর। শুরুটা পেলেও সাইফ টানতে পারেননি। তার ১৪ বলে ২০ রানের ইনিংসটা থেকেছে আক্ষেপ হয়ে।
ইমরানুজ্জামান এদিন ছিলেন মন্থর। বলে রানে আনায় কাজের কাজ হয়নি। রানার বলে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৩১ বলে ৩১। তিনে নামা ফজলে রাব্বিও তুলতে পারেননি ঝড়। মার্শাল আইয়ুবেরও একই অবস্থা। রাব্বিকে আউট করেন সাইফুদ্দিন। মার্শাল কাটা পড়েন রানার বলে।
টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পাওয়ার দিন নেমে শামীম পাটোয়ারি ছিলেন নিষ্প্রভ। সাইফুদ্দিনের বলে ৮ বলে ২ রান করা শামীমের ক্যাচ দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় হাতে জমান কিপার লিটন।
শেষ দিকে অধিনায়ক ফরহাদ ৭ বলে ১৯ করলে কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি পায় দোলে-শ্বর। সেটা যে যথেষ্ট ছিল না দেখা গেছে মুনিম, লিটনদের ব্যাটে।
Comments