করোনাভাইরাস

২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাটে শনাক্ত ৪৬.৮৭ ও কুড়িগ্রামে ৪০.৯০ শতাংশ

সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে বেড়েছে করোনা শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাটে করোনা শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়েছে।
লালমনিরহাট ১০০ শয্যা হাসপাতাল। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার
সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে বেড়েছে করোনা শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাটে করোনা শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়েছে।
 
লালমনিরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া, শহরের সাপ্টানা বাজার ও কলেজ বাজার এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক স্কুল শিক্ষকসহ দু’জন। এ নিয়ে লালমনিরহাটে করোনায় মারা গেলেন ২১ জন।
 
কুড়িগ্রামেও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ দশমিক ৯০ শতাংশ হয়েছে। এই সময়ে ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে করোনা শনাক্তদের অধিকাংশই পৌর এলাকার বাসিন্দা।
 
দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় ও কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান।
 
লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘লালমনিরহাটের করোনা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামী ২৬ জুন শনিবার সকাল থেকে পৌর এলাকায় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। সাধারণ মানুষের অসেচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার প্রবণতাই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ।’
 
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের হার কমাতে শনিবার বিকেল থেকে কুড়িগ্রাম পৌর এলাকায় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এরপরও করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা শঙ্কিত। ২৬ জুন শনিবার রাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলে বিধিনিষেধ বাড়িয়ে দিয়ে আরও কঠোর বিধিনিষেধ এমনকি লকডাউন ঘোষণা করা হতে পারে।’
 
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানিয়েছেন, লালমনিরহাট সদর পৌর এলাকায় বিধিনিষেধ চলাকালীন সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে, অফিস-আদালত, দোকানপাট, মার্কেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিং মল বন্ধ থাকবে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জমায়েত বন্ধ থাকবে, পর্যটনস্থল, বিনোদন কেন্দ্র ও কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ থাকবে, এনজিও’র কিস্তি আদায় বন্ধ থাকবে, কাঁচা বাজার মুদি দোকান ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকেবে এবং ওষুধের দোকান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না।
 
এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। শনিবার সকাল থেকে আগামী সাত দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে এ বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করবে বলে তিনি জানান।

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago