জমজমাট হাঁড়িভাঙ্গা’র বাজার
লালমনিরহাটের হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাজার জমে উঠেছে। এই এলাকার বাজারের দোকান থেকে শুরু করে ও ফুটপাতে ভ্যানে ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে হাঁড়িভাঙ্গা আম। দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ক্রেতারাও কিনছেন সাধ্য মতো।
বর্তমানে এক কেজি হাঁড়িভাঙ্গা আম বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে তা বিক্রি হয়েছিল ৪৫-৫০ টাকায়। বাজারে এ আমের দাম আরও কমতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
লালমনিরহাট শহরের মিশনমোড় এলাকার ফল ব্যবসায়ী নজির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘লালমনিরহাট শহরে ৫০ জনের মতো স্থায়ী ফল ব্যবসায়ীর পাশাপাশি ৩৫০-৩০০ জন ভাসমান ফল ব্যবসায়ী এখন হাঁড়িভাঙ্গা আম বিক্রিতে ব্যস্ত। প্রতিবছর হাঁড়িভাঙ্গা আমের মৌসুমে এসব ব্যবসায়ীরা ব্যবসায় নামেন। তাদের ব্যবসা চলে এক থেকে দেড় মাস। ভাসমান ফল ব্যবসায়ীর প্রত্যেকে প্রতিদিন গড়ে ৪০০-৬০০ কেজি হাঁড়িভাঙ্গা আম বিক্রি করে।’
জেলায় প্রতিদিন গড়ে চারশ থেকে সাড়ে পাঁচশ মেট্রিকটন হাঁড়িভাঙ্গা আম বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ফল ব্যবসায়ী সবিরুল ইসলাম জানান, তারা প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙ্গা আম বিক্রি করে ৩-৪ টাকা লাভ করছেন। লালমনিরহাট ও রংপুরে বিভিন্ন বাগান মালিকের কাছ থেকে তারা সরাসরি আম কিনে বাজারে বিক্রি করছেন।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী এলাকার আম চাষি নুর ইসলাম জানান, তিনি গত আট বছর ধরে চার একর জমির বাগানে হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষ করছেন। এ বছর আমের সাইজ একটু ছোট হয়েছে এবং গত বছরের চেয়ে এ বছর দামও কম পাচ্ছেন।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামিম আশরাফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জেলায় পাঁচ শতাধিক হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাগান আছে। প্রতিটি বাগানে তিন একর থেকে শুরু করে ১৫ একর জমি আছে। এ জাতের আমের ফলনও ভালো, দামও ভালো- তাই কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়।’
আরও পড়ুন: হাঁড়িভাঙ্গা আমে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন রংপুরের চাষিরা
Comments