ভ্যাকসিন সরবরাহ ব্যবস্থায় বিশ্ব রাজনীতির প্রভাব আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Momen-1.jpg
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

করোনা ভ্যাকসিন কেনার বিষয়টি সবার জন্য সহজলভ্য হবে না বলে সন্দেহ পোষণ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেছেন, এ ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র মাধ্যম নয়। ভ্যাকসিন সরবরাহ ব্যবস্থায় বিশ্ব রাজনীতির প্রভাব আছে।

আজ রোববার এক ওয়েবিনারে তিনি বলেন, ‘আমরা বিস্ময় ও হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, বিশ্ব রাজনীতি ও শক্তিশালী জোটগুলো বিশ্ব সমাজে অত্যধিক আধিপত্য বিস্তার করছে।’

‘দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তায় সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)। এতে কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ ও সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।

মোমেন বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোতে হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির বিষয়টি জরুরি হয়ে পড়েছে।’

‘আমরা জনসাধারণের জন্য ভ্যাকসিন চাইছি এবং সাশ্রয়ী মূল্যে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য এ প্রযুক্তি সব দেশের কাছে উন্মোচন করা উচিত’, বলেন তিনি।

ভারত গত ফেব্রুয়ারিতে ভ্যাকসিন রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ভ্যাকসিনের জন্য লড়াই করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সেসময় ৩০ মিলিয়ন ডোজের চুক্তির বিপরীতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে মাত্র সাত মিলিয়ন ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন পাওয়া গিয়েছিল।

বাংলাদেশ এরপর চীন ও রাশিয়া থেকে ভ্যাকসিন আমদানির চেষ্টা করে এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াকে অনুরোধ জানায়। ইতোমধ্যে চীন থেকে উপহারস্বরূপ ১১ লাখ সিনোফার্ম ভ্যাকসিন এবং কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক লাখ ৬০০ ফাইজারের ভ্যাকসিন পেয়েছে বাংলাদেশ।

Comments

The Daily Star  | English

Regulator repeatedly ignored red flags

Time after time, the internal safety department of the Civil Aviation Authority of Bangladesh uncovered irregularities in pilot licencing and raised concerns about aviation safety, only to be overridden by the civil aviation’s higher authorities.

8h ago