সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধে আকস্মিক ধস, ৭০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন

উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিতে যমুনা নদীর পানি বেড়ে সিরাজগঞ্জে নদীভাঙন তীব্র আকার নিয়েছে। ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৭০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৭০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ছবি: সংগৃহীত

উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিতে যমুনা নদীর পানি বেড়ে সিরাজগঞ্জে নদীভাঙন তীব্র আকার নিয়েছে। ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৭০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, আজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে পুরাতন জেলখানা ঘাট এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ এই বাঁধটিতে ভাঙন দেখা দেয় এবং মাত্র দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যে শহররক্ষা বাঁধের প্রায় ৭০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্মকর্তারা সেখানে যান এবং ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা নেন।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ঘটলাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আকস্মিক এই ভাঙ্গনে বাঁধের ৭০ মিটার অংশ ইতোমধ্যে নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন প্রতিরোধে আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে ভাঙন কবলিত স্থানে জিও ব্যাগ ও কনক্রিট ব্লক ডাম্পিং শুরু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টির ফলে পানি বেড়ে যাওয়ায় যমুনা নদীতে তীব্র ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তলদেশে ঘূর্ণাবর্তন সৃষ্টি হওয়ায় বাঁধের ওই পয়েন্টে আকস্মিক ধস দেখা দেয়।’

এদিকে বাঁধ ভাঙনের খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেসময় প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তা ও সরকারি দলের নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।

শহর রক্ষা বাঁধে ধস নামার খবরে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

যমুনা নদীর ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষায় ২০০১ সালে ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোরিয়ার হুন্দাই কোম্পানি ১০০ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে বাঁধটি নির্মাণ করলেও ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১৩ সালে কয়েকদফা আকস্মিক ধসে বাঁধের বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Labour bill put on the shelf

In an almost unheard-of move, President Mohammed Shahabuddin has sent a labour law amendment back to parliament for reconsideration, expressing concern over the proposed punishment of workers for wrongdoings.

5h ago