গাইবান্ধায় সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালিত

গাইবান্ধায় সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস বা হুল পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলায় র্যালি, মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটার মোড় এবং গাইবান্ধা শহরের রেলগেটে সাহেবগঞ্জ দুটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ ও জনউদ্যোগ গাইবান্ধার ব্যানারে এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ২০১৬ সালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার দাবি করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও সাঁওতালরা অধিকার থেকে বঞ্চিত। ২০১৬ সালে গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে হামলা-অগ্নিসংযোগ-লুটতরাজ ও তিন সাঁওতাল হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও করতে পারেনি সরকার।
এসময় তারা রংপুর চিনিকলে দেওয়া তাদের বাবা-দাদার সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার দাবি জানান।
গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জে ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কের বলেন, ‘বাবা-দাদার সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার আন্দোলনে ২০১৬ সালে আমাদের তিন জন সাঁওতাল নিহত হয়েছেন। কিন্তু, আজও আমরা তার বিচার পাচ্ছি না। এই হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর হতে চলল, অথচ এখনো তদন্ত শেষ করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
মানববন্ধন এবং সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের জেলা আহবায়ক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবীর তনু, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) জেলা নেতা মৃণার কান্তি, মানবাধিকার কর্মী শহিদুল ইসলাম, অঞ্জলি রানী দেবী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৮৫৫ সালে ভারতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম সাঁওতাল বিদ্রোহ হয়। সেই বিদ্রোহে নিহত হন সাঁওতাল নেতা সিধু-কানুসহ আরও অনেকে। তখন থেকে সাঁওতালরা প্রতিবছর ৩০ জুন সাঁওতাল ‘হুল’ বা বিদ্রোহ দিবস পালন করে আসছে।
Comments