লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত ১
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের মহিষতুলি বারোঘড়ি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয়দের দাবি, এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিক সুবল চন্দ্র রায় (৩০) এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিখোঁজ রয়েছেন ভরত চন্দ্র রায় (৩২)।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের লোহাকুচি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার ফরিদ হোসেন বলেন, ‘বিএসএফ’র গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন, কিন্তু তিনি বাংলাদেশি না ভারতীয় তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সীমান্তের ৯২০ ও ৯২১ নাম্বার মেইন পিলারের মাঝখানে মহিষতুলি বারোঘড়ি সীমান্তে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের কোচবিহার ৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কৈমারী ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা মরদেহ নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিএসএফ এখনও আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। আমাদের কাছে কেউ মরদেহ দাবিও করেনি।’
নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে যোগ করেন তিনি।
আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে এ ঘটনাটি ঘটেছে। সুবল চন্দ্র রায়ের পিতা পেলকুরাম বর্মণ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমার ছেলে গরু আনতে ভারতে গিয়েছিল। তার সঙ্গে যারা ভারতে গরু আনতে গিয়েছিল তারাই জানিয়েছেন সুবল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।’
নিখোঁজ যুবক ভরতের পিতা সতিশ চন্দ্র দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমার ছেলে ভারতে গরু আনতে গিয়েছিল। তার সঙ্গে যারা গরু আনতে গিয়েছিল তারাই জানিয়েছেন ভরত গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে গেছে। সে কোথায় আছে কেউ বলতে পারছে না। এখন পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।’
সীমান্তে গরু পাচারকারীর সঙ্গে সম্পৃক্ত আমীর আলী জানান, আজ বুধবার ভোর রাতে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল ভারতে যায় গরু আনার জন্য। ফেরার সময় ভারতের কোচবিহার জেলার সিতাই থানার কৈমারী বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা গুলি চালায়। এ সময় সুবল ও ভরত গুলিবিদ্ধ হলে সুবল ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভরত পালিয়ে যান। বাকীরা অক্ষত অবস্থায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘থানায় কেউ এখনও অভিযোগ করেনি। সীমান্ত সংশ্লিষ্ট ঘটনায় বিজিবি বিস্তারিত বলতে পারবে। তারা মরদেহ পেলে পরবর্তী প্রক্রিয়ায় আমরা যুক্ত হব।’
Comments