কুয়াকাটা সৈকতের বালু কেটে নেওয়ার অভিযোগ সিকদার রিসোর্টের বিরুদ্ধে

কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত থেকে ট্রাকে করে বালু কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সৈকত থেকে বালু নেয়া নিষেধ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। সৈকতের এ বালু নিয়ে তাদের নিজস্ব গরুর খামার ভরাট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্মরত শ্রমিকরা।
অন্যদিকে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের দাবি তারা এ কাজে জড়িত নয়। যদিও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন গতকাল খবর পাওয়ার পর সিকদার রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের বালু কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সিকদার রিসোর্টের লোগো সম্বলিত ট্রাকে বালু কেটে ভরা হচ্ছে। বালু কাটার কাজে নিয়োজিত দুই শ্রমিক জানান, সিকদার রিসোর্টের এক কর্মকর্তার নির্দেশে বালু কাটা হচ্ছে।
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বালু ক্ষয়ের কারণে জাতীয় উদ্যানসহ গোটা সৈকত ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন অবস্থায় সৈকতের বালু কেটে নেওয়ায় বনবিভাগের জাতীয় উদ্যানসহ সংলগ্ন সৈকত এলাকা ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে। যদিও স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস এ বালু কেটে নেওয়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাস কর্তৃপক্ষ সরকারি জমি দখলসহ ট্রাক ভরে বালু কেটে নিলেও প্রশাসন নিরব। এ বালূ লুটেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
জানতে চাইলে কুয়াকাটা সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাজের অপারেশন ম্যানেজার আল আমিন বালু কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেন। বলেন, ‘সৈকত থেকে বালু আনার কাজে আমাদের কেউ জড়িত নয়। প্রয়োজনে আমরা বালু কিনে কাজ করি। আর যে শ্রমিকদের কথা বলা হচ্ছে সে নামে আমাদের কোনো লোকও নেই।’
ট্রলিতে সিকদার রিসোর্টের লোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘কারা কেন সৈকত থেকে বালু আনছে আমি জানি না। তবে আমরা এ কাজে জড়িত নই।’
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক বলেন, খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদারকে পাঠিয়ে সিকদার রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের বালু কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি তারা সৈকত থেকে বালু নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments