স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড

গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধ

গাজীপুরে বেতনের দাবিতে একটি কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: স্টার

বকেয়া বেতনের দাবিতে আবারও গাজীপুর-ঢাকা সড়ক অবরোধ করেছেন স্টাইল ক্রাফট লিমিটেডের শ্রমিক-কর্মচারীরা। আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে ওই সড়কের লক্ষ্মীপুরা এলাকায় তারা অবরোধ করেন।

জানা গেছে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত শ্রমিকদের এই অবরোধ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে পুলিশের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। এর আগেও বেশ একই দাবিতে এই প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীরা অবরোধ করেছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে বিক্ষোভকারীরা কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করেন। পরে কারখানার কোনো কর্তৃপক্ষ না আসায় তারা সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর-ঢাকা সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। সেসময় তারা বেতন-ভাতার দাবিতে নানারকম স্লোগান দেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, স্টাইল ক্রাফট পোশাক কারখানায় প্রায় সাড়ে সাত শ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক রয়েছে। কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা চলতি বছরের মার্চ, মে, জুন এবং ২০২০ সালের মার্চ ও আগস্টের শতকরা ৫০ ভাগ, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর ও অক্টোবরের ৩৫ ভাগ, নভেম্বরের ১৫ ভাগ বেতন পাওনা রয়েছেন। এ ছাড়াও কারখানার কর্মচারীরা ইনক্রিমেন্টসহ তাদের চার বছরের বাৎসরিক ছুটি ও দুই বছরের ঈদ বোনাসের টাকা পাওনা রয়েছেন। তারা বেশ কিছুদিন ধরে এসব পাওনা পরিশোধের জন্যে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

তারা আরও জানান, তবে, কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধের জন্যে একাধিকবার তারিখ ঘোষণা করলেও পরিশোধ করেনি। সর্বশেষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গত মার্চের বকেয়া বেতন ৭ জুলাই এবং মে ও জুনের বকেয়া বেতন ১৫ জুলাই ও ঈদ বোনাস ১৮ জুলাই পরিশোধের আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৭ জুলাই কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ না করে তিন মাসের বকেয়া পাওনা একসঙ্গে ১৫ জুলাই পরিশোধের ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে তারা ছুটির দিন ছাড়া প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ করছেন। গত ঈদুল ফিতরের সময়ও আন্দোলন করে তাদের বেতন-বোনাস নিতে হয়েছে।

কারখানার শ্রমিক সুইং শাখার শ্রমিক চামেলী ও খোদেজা বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, চলতি মাসের ১৭ দিন হয়ে গেলেও আমরা বেতন পাচ্ছি না। ঈদ বোনাসও পাইনি। ঘরভাড়া দিতে না পেরে বাড়ির মালিকের নানা ধরনের কথা শুনতে হচ্ছে। বেতন-বোনাস না পেলে ঈদে কী করব?

গাজীপুর মেট্রোপলিটন শিল্প পুলিশের পরিদর্শক সমীর চন্দ্র সূত্রধর ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রতি মাসেই শ্রমিকেরা আন্দোলন করলে তাদের বেতন পরিশোধ করা হয়। এটি এখন এ কারখানার নিয়মে পরিণত হয়েছে।’

এ বিষয়ে কারখানার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শ্রমিকদের রোজার ঈদের আগে এপ্রিল ১৯ দিনের বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়া হয়েছে। এখন শুধু এপ্রিলের ১১ দিন এবং মে-জুনের বেতন তারা পাবেন। গত ১০ জুলাই শ্রমিকদের নিয়ে কারখানার এমডি ভার্চুয়ালি মিটিং করেছেন। মিটিংয়ে করোনাকালে বন্ধের প্রথম ৪৫ দিনের ৫০ শতাংশ এবং পরের দিনগুলোর ২৫ শতাংশ বেতন দেওয়ার কথাও জানানো হয়। কিন্তু, শ্রমিকরা সিদ্ধান্তটি না মেনে বিক্ষোভ করছেন।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

41m ago