পাটুরিয়া ঘাটে ৩ কিমি জুড়ে গাড়ির সারি
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে ফেরি ও লঞ্চে পদ্মা পার হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উদ্দেশে যাত্রা করা মানুষের ঢল নেমেছে। গাড়ির দীর্ঘ সারির কারণে ঘাট থেকে তিন কিলোমিটার দুরে নেমে লঞ্চে ও ফেরিতে উঠছেন যাত্রীরা।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাটে তিন কিলোমিটার জুড়ে দুই সারির এক সারিতে ট্রাক ও অন্য পণ্য পরিবহনকারী যানবাহন এবং এক সারিতে যাত্রীবাহী বাস দেখা গেছে। ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে শতশত গাড়ি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে।
দুপুর দুইটার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে পার হওয়ার অপেক্ষায় চার শতাধিক ছোট গাড়ী, তিন শতাধিক দুরপাল্লার বাস ও পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক দেখা গেছে।
আরিচা ফেরিঘাটে গিয়েও দেখা গেছে একই দৃশ্য। সেখানে আটকা পড়েছে অন্তত চার শতাধিক গাড়ি।
সরেজমিনে পাটুরিয়া ও আরিচা লঞ্চ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও, নেওয়া হচ্ছে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও বেশি। এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি।
পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যেন সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। কিন্তু, যাত্রীরা আমাদের কথা শোনেন না। আমাদের নির্দেশনা অমান্য করে তারা অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে উঠছেন।’
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২৫টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আটটি লঞ্চ চালু আছে বলে জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৬টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে চারটি ফেরি সচল রাখা হয়েছে। আমাদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। যাত্রীদের একটু ধৈর্য ধারণ করে, সরকারি নির্দেশনা মেনে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।’
Comments