তবুও মেসিকে সবসময় শ্রদ্ধা করে যাবেন মিনা
প্রতিপক্ষ জালে বল জড়াতে পারলে তা উদযাপন করে বিশেষভাবে নাচেন কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার ইয়েরি মিনা। কোপা আমেরিকাতেই উরুগুয়ের বিপক্ষে এমনটা করেছিলেন তিনি। তবে মূল আলোচনাটা হয় সেমি-ফাইনালে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে পেনাল্টি মিস করায় তা খোঁচা মেরেছিলেন স্বয়ং আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তা মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। কিন্তু মেসির এমন আচরণে অস্বাভাবিক কিছুই দেখছেন না মিনা। এমনকি মেসির প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধও আগের মতোই রয়েছে বলে জানান এ এভারটন ডিফেন্ডার।
কোপা আমেরিকার সেই ম্যাচে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে সমতা থাকায় গড়ায় টাই-ব্রেকারে। কলম্বিয়ার হয়ে দ্বিতীয় শট নিতে আসেন সেন্টার ব্যাক মিনা। তখনই তাকে খোঁচা মেরেছিলেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমি মার্তিনেজ। এক প্রকার প্রকাশ্যেই জানিয়ে দেন তার স্পটকিক ঠেকিয়ে দেবেন তিনি। শেষপর্যন্ত তা করেও দেখান মার্তিনেজ। আর পেনাল্টি মিস করায় তখন যোগ দেন মেসিও। চিৎকার করে মিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'এবার নাচো।'
ফুটবলে এ বিষয়টি খুব স্বাভাবিক বলেই মনে করেন মিনা। প্রতিপক্ষের ব্যর্থতায় মাঝেমধ্যেই নিজেদের উদযাপনটা বন্য হয়ে যায়। বিষয়টা ঠিক এভাবেই দেখছেন এ কলম্বিয়ান, 'লিওর সাথে যা ঘটেছিল তা যে কারো সঙ্গে যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে, এটাই ফুটবল। জীবন ঘুরে দাঁড়ায়, এটা প্রতিশোধ (নেওয়ার সুযোগ গড়ে) দেয়, তবে আমি শান্ত রয়েছি। কারণ আমি জানি যে লিও দারুণ একজন মানুষ।'
এভারটনে যাওয়ার আগে প্রথম কলম্বিয়ান খেলোয়াড় মাস ছয়েক বার্সেলোনার হয়ে খেলেছিলেন মিনা। যদিও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল মাত্র ৫টি। স্বাভাবিকভাবেই মেসিকে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন তিনি। আর তখন মেসি তাকে অনেক সাহায্য করেছিলেন বলেই জানান মিনা। আর এরজন্য কৃতজ্ঞও তিনি, 'আমি তার সঙ্গে বার্সেলোনায় দেখা করেছি এবং সে আমাকে যে সমর্থন দিয়েছে তার জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি সবসময় তাকে শ্রদ্ধা করব।'
আর কোপার সেই সেমি-ফাইনালে যা হয়েছে তা তখনই ভুলে গিয়েছিলেন এ এভারটন তারকা, 'সে যা তারজন্য আমি মেসির প্রশংসা করি। সেই সময় আমরা দুজনেই আমাদের জাতীয় দলের হয়ে খেলছিলাম। আমার যদি আমার জাতীয় দলের জন্য প্রাণ দিতে হয় আমি তা দিয়ে দেব। তবে যা ঘটেছিল তা সেখানেই শেষ, তেমন কিছুই হয়নি।'
Comments