ইতিহাস গড়ে ১০০ মিটারের নতুন রাজা ইতালির জ্যাকবস

টোকিও অলিম্পিকে দ্রুততম মানব হয়েছেন জ্যাকবস।
ছবি: টুইটার

হিটের আগে তিনি ছিলেন না আলোচনায়। সেমিফাইনালের আগেও তাকে নিয়ে কোনো কথা হয়নি। কিন্তু ফাইনালে ইতালির সেই ল্যামন্ত মার্সেল জ্যাকবসই কেড়ে নিলেন সব আলো! চমক দেখিয়ে ইতিহাস গড়ে ছেলেদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতলেন তিনি।

রবিবার টোকিও অলিম্পিকে দ্রুততম মানব হয়েছেন জ্যাকবস। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্টে তিনি দৌড় শেষ করেন ৯.৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে। এটি নতুন ইউরোপিয়ান রেকর্ডও বটে।

সোনা জেতার পর জ্যাকবস বলেছেন, সবকিছু স্বপ্নের মতো লাগছে তার কাছে, 'আমি জানি না। এটা স্বপ্ন, স্বপ্ন। এটা অসাধারণ। হয়তো আগামীকাল আমি বুঝতে পারব সবাই কী বলছে। কিন্তু আজকের দিনটা অনন্য।'

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রেড কার্লি ৯.৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা জিতেছেন। গতবার রিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জেতা কানাডার আন্দ্রে দে গ্রাস এবারও ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। তার সময় লেগেছে ৯.৮৯ সেকেন্ড। পদক জয়ী তিন জনই এই ইভেন্টে নিজেদের সেরা টাইমিং করেছেন।

অলিম্পিকের গত তিনটি আসরে ১০০ মিটারে সোনা জিতেছিলেন সর্বকালের সেরা স্প্রিন্টার জ্যামাইকার উসাইন বোল্ট। তার একচ্ছত্র আধিপত্যের সময়ে অন্য কেউ সেরা হতে পারেননি। গত অলিম্পিক শেষে তিনি অবসরে যাওয়ার পর এবার দেখা মিলেছে নতুন রাজার।

ছেলেদের ১০০ মিটারে ২৯ বছর পর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন দেখল অলিম্পিক। ১৯৯২ সালে বার্সেলোনায় লিনফোর্ড ক্রিস্টি হয়েছিলেন সেরা। তিনি অংশ নিয়েছিলেন গ্রেট ব্রিটেনের হয়ে।

২৬ বছর বয়সী জ্যাকবস গড়েছেন একটি অনন্য রেকর্ডও। ইতালির প্রথম পুরুষ অ্যাথলেট হিসেবে ১০০ মিটারে সোনার পদক জেতার স্বাদ নিয়েছেন তিনি। এর আগে দেশটির সেরা সাফল্য ছিল ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিকে মেয়েদের ১০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জয়।

শৈশবের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় ভীষণ উচ্ছ্বসিত জ্যাকবস, 'অলিম্পিকে একটি সোনা জেতা আমার ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল। হ্যাঁ, অবশ্যই একটা স্বপ্ন একেবারে ভিন্ন কিছুতে রূপ নিতে পারে। তবে এই ফাইনালে দৌড়ানো ও জেতায় আমার স্বপ্ন সার্থক হয়েছে।'

প্রিয়জন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি তিনি, 'আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার পরিবারকে, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন করেছে, আমার দুই সন্তানকে এবং আমার মাকে, যিনি আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকেই আমার এক নম্বর ভক্ত, আমার দলকে এবং তাদেরকে, যারা আমাকে সমর্থন দিয়ে এসেছে।'

Comments

The Daily Star  | English
pharmaceutical industry of Bangladesh

Pharma Sector: From nowhere to a lifesaver

The year 1982 was a watershed in the history of the pharmaceutical industry of Bangladesh as the government stepped in to lay the foundation for its stellar growth in the subsequent decades.

14h ago