মোস্তাফিজের ঝলকে বাংলাদেশের সহজ লক্ষ্য

আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১২১ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।
Mustafizur Rahman
ম্যাথু ওয়েডকে বোল্ড করে মোস্তাফিজুর রহমানের উল্লাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের জন্য পাশাপাশি দুটি উইকেট প্রস্তুত ছিল। দুটি উইকেটেরই চরিত্র একই। ধীর গতির আর টার্নিং। তাতে এবার আগে ব্যাটিং নিয়েও বিস্তর ভোগান্তি হলো অস্ট্রেলিয়ার। এবারও তাদের ত্রাতা হয়ে চেষ্টা চালালেন মিচেল মার্শ। কিন্তু সহায়ক কন্ডিশনে বাংলাদেশের তারকা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান জ্বলে ওঠায় অজিরা পেল না শক্ত পুঁজি।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১২১ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে ৪২ বলে সর্বোচ্চ ৪৫ করেন মার্শ। স্বাগতিকদের সেরা বোলার নিঃসন্দেহে মোস্তাফিজ। ৪ ওভার বল করে ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি।

আগের দিনের চেয়ে এদিন অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা কিছু ভালো ছিল। আগের ম্যাচে প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে গিয়েছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি। এদিন রিভার্স সুইপে দুটি চার পেয়ে গিয়েছিলেন শুরুতে। তবে ক্যারি এবারও ইনিংস 'ক্যারি' করতে পারেননি। আগের মতই তার হন্তারক শেখ মেহেদী হাসান।

১১ রান করে মেহেদীকে উড়াতে গিয়ে মিড অনে ধরা পড়েন ক্যারি। আরেক ওপেনার জশ ফিলিপি এদিনও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। মোস্তাফিজকে এক চার মারার পর স্লোয়ারে বোকা বনে হন বোল্ড।

এদিনও পাওয়ার প্লেটা কাজে লাগাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ৩২ রান তুলতে হারায় ২ উইকেট। তৃতীয় উইকেটে মার্শের সঙ্গে জুটি গড়েন মোজেজ হেনরিকস। উইকেটের ভাষা বুঝে চলতে থাকে তাদের লড়াই। বাউন্ডারির দিকে না গিয়ে এক, দুই করে এগোনোর পথ বাছেন তারা।

তাদের জুটিতে ৫০ আসে ৪৭ বলে। তাতে দেড়শো ছোঁয়ার ভিত পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে বড় অসময়েই উইকেট পড়ে তাদের। ১৫তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। তার ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে স্টাম্প খোয়ান হেনরিকস। তৃতীয় উইকেটে ৫২ বলে আসে ৫৭ রান। এরপর অজিরা খেই হারিয়ে ফেলে।

আগের ম্যাচের মতো মার্শ টিকে ছিলেন বলেই চিন্তাটা ছিল বাংলাদেশের। তবে মাথাব্যথা বাড়ার আগে ১৭তম ওভারে তাকে ছাঁটেন শরিফুল ইসলাম। তার বলে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে ধরা পড়েন মার্শ। আগের দিনের মতো আজও ঠিক ৪৫ আসে তার ব্যাটে। তফাৎ হলো এবার বল খেলেন তিনটা কম। শরিফুল ওই ওভারে দেন মাত্র ৩ রান।

পরের ওভারে মোস্তাফিজ এসে বোল্ড করেন দেন অজি কাপ্তান ম্যাথু ওয়েডকে। চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পাওয়ার সম্ভাবনাও তখন হাওয়া হয়ে যায় তাদের। পরের বলেই দারুণ কাটারে তিনি বিদায় করেন অ্যাস্টন অ্যাগারকে। মোস্তাফিজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরের ওভারে অ্যাস্টন টার্নারকে সাজঘরে পাঠান শরিফুল।

শেষ পর্যন্ত কোনোমতে ১২০ রান ছাড়াতে পারে অস্ট্রেলিয়া। উইকেট মন্থর হলেও চেনা কন্ডিশনে বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে এই রান তাড়া করে জেতা খুবই সম্ভব মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ১২১/৭ (ফিলিপি ১০, ক্যারি ১১, মার্শ ৪৫, হেনরিকস ৩০, ওয়েড ৪, টার্নার ৩, অ্যাগার ০, স্টার্ক ১৩*, টাই ৯*; শেখ মেহেদী ১/১২, নাসুম ০/২৯, সাকিব ১/২২, মোস্তাফিজ ৩/২৩, শরিফুল ২/২৭, সৌম্য ০/৭)।

Comments

The Daily Star  | English

How hot is too hot?

Scientists say our focus should not be on just heat, but a combination of heat and humidity

46m ago