আফিফ জানতেন উইকেটে থাকলেই কাজটা হয়ে যাবে

টি-টোয়েন্টিতে এমনিতে ১২২ রান তেমন কোন লক্ষ্যই না। কিন্তু মিরপুরের মন্থর আর টার্নিং উইকেটে ওই রান করাটা মোটেও সহজ কিছু নয়।
Afif Hossain
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টি-টোয়েন্টিতে এমনিতে ১২২ রান তেমন কোন লক্ষ্যই না। কিন্তু মিরপুরের মন্থর আর টার্নিং উইকেটে ওই রান করাটা মোটেও সহজ কিছু নয়। ৬৭ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ যেমন বিপদ দেখছিল। নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে আফিফ হোসেন ধ্রুব সেই বিপদ যেন উড়ালেন আপার কাটে। 

দলের ৫৯ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হওয়ার পর ক্রিজে গিয়েছিলেন আফিফ। খানিক পর শেখ মেহেদী হাসান আউট হয়ে গেলে ৬৭ রানে পড়ে যায় ৫ উইকেট।

ম্যাচ জিততে ৫২ বলে দরকার তখন ৫৫ রান। উইকেটের আচরণের কারণেই সময় দরকার ছিল বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং। ঝুঁকি না নিয়ে সেই কাজটাই করতে থাকেন আফিফ। সঙ্গে পেয়ে যান কিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানকে।

এক, দুই করে এগুতে থাকেন তারা। ১৬তম ওভারে মিচেল স্টার্ক এসে জোরের উপর বল দিয়েছিলেন। মন্থর উইকেট হওয়ায়  বল ব্যাটে আসছিল ভালোভাবে। ওই ওভার থেকে দুই চারে চলে আসে ১৩ রান। খেলা হয়ে যান অনেক সহজ।

ম্যাচ শেষে জানালেন, ক্রিজে গিয়েই বুঝতে পেরেছিলেন তার করণীয়, 'ব্যাটিংয়ে নামার পর চেষ্টা করেছি উইকেট অ্যাসেস করার। উইকেটের আচরণ কেমন, সেটা খেয়াল রেখে যেন উইকেট না দিয়ে থাকতে পারি (ক্রিজে).. শেষ পর্যন্ত যদি খেলতে পারি, আমার বিশ্বাস ছিল যে প্রয়োজনীয় রেটই থাকুক না কেন, আমি ভালোভাবে শেষ করতে পারব।'

৬ষ্ঠ উইকেটে আফিফ-সোহান আনেন ৪৪ বলে ৫৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ২১ বলে ৩ চারে ২২ করা সোহানের অবদানও কম নয়। ওই সময় সোহান স্ট্রাইক রোটেট করতে পারায় কাজটা সহজ হয়েছে আফিফের, 'সোহান ভাই খুবই ভালো ব্যাট করেছে। আমাদের দুজনের পরিকল্পনা ছিল যে উইকেট দেব না। বল টু বল রান দরকার ছিল তখন। তো উইকেট না দিয়ে রান কিভাবে করা যায়, সেই চেষ্টা করছিলাম। অপর পাশ থেকে ভালো সমর্থন পাওয়ায় আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি।'

৩৩ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় আফিফের ৩৭ রানের ইনিংসটা ঠিক বিস্ফোরক নয়। এই উইকেটে তেমন ইনিংস খেলাও সম্ভব না। উইকেট আর পরিস্থিতির বিচারে দুই ম্যাচেই আফিফকে পাওয়া গেছে কার্যকর ভূমিকায়। আগের ম্যাচে করেছিলে ১৭ বলে ২৩।

অজিদের প্রথম দুই ম্যাচ হারানোয় সিরিজ জেতার একদম দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচেই তাই কাজটা সারতে চান আফিফ,  'অবশ্যই আমাদের প্রত্যেকটি ম্যাচ নিয়ে চিন্তা থাকে। আপাতত আমাদের চিন্তা থাকবে সামনের ম্যাচটা যেন ভালো খেলে জিততে পারি। জিততে পারলে সিরিজটি তো আমাদের পক্ষেই আসবে। চেষ্টা করব সামনের ম্যাচ জেতার।'

Comments

The Daily Star  | English
World Press Freedom Day 2024

Has Bangladesh gained anything by a restrictive press?

The latest Bangladesh Bank restriction on journalists is anti-democratic, anti-free press and anti-public interest.

10h ago