স্কুলের শ্রেণিকক্ষ দখল করে সপরিবারে বসবাস

পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের ৭১ নং নন্দীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষ দখল করে সপরিবারে বসবাস করছেন স্থানীয় বাসিন্দা মোশারেফ হোসেন।
শ্রেণিকক্ষ দখল করে সপরিবারে বসবাস করছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের ৭১ নং নন্দীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষ দখল করে সপরিবারে বসবাস করছেন স্থানীয় বাসিন্দা মোশারেফ হোসেন।

করোনাকালে স্কুলটি বন্ধ থাকার সুযোগে তিনি ওই কক্ষে পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুলটি খুলে দেওয়া হলেও তিনি দখল ছাড়েননি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষ দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন মোশারেফ হোসেন। কিছু বেঞ্চ একত্রিত করে বানিয়েছেন দু'টি চৌকি। কিছু বেঞ্চ একত্রিত করে রেখেছেন গৃহস্থালীর মালামাল। রান্নার জন্যে বারান্দার এক কোনে চুলা বসানো হয়েছে। সেখানে তিনি ও তার স্ত্রী থাকছেন।

সরেজমিনে আরও দেখা যায়, বিদ্যালয়ের কর্মরত ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে সহকারী শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলামকে স্কুলে পাওয়া যায়নি।

সহকারী শিক্ষক জি এম হিলারী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রধান শিক্ষক ওই ব্যক্তিকে এখানে কয়েক মাস আগে থাকতে দিয়েছেন। শুনেছি ইউপি চেয়ারম্যানের অনুরোধে তাকে রাখা হয়েছে।'

আরেক শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বলেন, 'সম্প্রতি আংশিক স্কুল খোলা হয়েছে। পুরোপুরি খুললে এখানে ক্লাস বসাতে হবে।'

মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলামকে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের অনুরোধে তাকে এখানে থাকতে দেওয়া হয়েছে।'

তবে, এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন প্রধান শিক্ষক।

রুমের দখলদার মোশারেফ হোসেন (৪৫) জানান, তার দাদা বিদ্যালয়ের জমিদাতা। কিন্তু, তার নিজস্ব কোনো জমি না থাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে একটি ঘর চেয়েছিলেন। তিনি ঘর দিতে না পেরে এখানে থাকতে দিয়েছেন।

তবে, এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মিলন মাঝি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।'

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিজিয়া বেগম জানান, দু'একদিনের মধ্যেই ওই ব্যক্তিকে রুম থেকে বের করে দেওয়া হবে।

সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্কুলের রুমে এভাবে থাকতে দেওয়া বিধিসম্মত নয়। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং শিগগির বিদ্যালয়ের রুমটি দখলমুক্ত করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Goods worth Tk 16k imported at Tk 2.63 crore

State-run Power Grid Company of Bangladesh Ltd (PGCBL) imported 68 kilograms of tower bolts, nuts and washers from India for a whopping $2,39,695 or Tk 2.63 crore, which is 1,619 times the contract value.

5h ago