কার্যকর আইনই পারে সড়ক নিরাপদ রাখতে

সড়ক ও যোগাযোগ খাতে ক্রমবর্ধমান বিশৃঙ্খলার বিষয়টি খুবই হতাশাজনক। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ প্রণয়নের তিন বছর পার হলেও সেটি তেমন কার্যকর নয় এবং এই সময়ের মধ্যে দেশে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। একদিকে পুলিশের হিসেবেই, এ বছর প্রথম ৭ মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ  বেড়েছে। অন্যদিকে, দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর জন্য দায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনা ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততার কারণে কঠিন হয়ে উঠেছে।

সড়ক ও যোগাযোগ খাতে ক্রমবর্ধমান বিশৃঙ্খলার বিষয়টি খুবই হতাশাজনক। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ প্রণয়নের তিন বছর পার হলেও সেটি তেমন কার্যকর নয় এবং এই সময়ের মধ্যে দেশে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। একদিকে পুলিশের হিসেবেই, এ বছর প্রথম ৭ মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ  বেড়েছে। অন্যদিকে, দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর জন্য দায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনা ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততার কারণে কঠিন হয়ে উঠেছে।

প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই আইনের বিধিগুলো এখনো তৈরি হয়নি, যে কারণে আইন বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। এছাড়াও, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সাথে সরকারের মধ্যস্থতার কারণে বাস্তবায়িত হয়নি বলে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক আন্দোলনকারীদের অভিযোগ।

এখন পর্যন্ত হালকা ও মাঝারি যানবাহন চালানোর লাইসেন্স ব্যবহার করে ভারী যানবাহন চালানো অথবা গাড়ির কিছু অংশের পরিবর্তন করে সেটিকে কন্টেইনার বহনের উপযোগী করার অপরাধে কোনো ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়নি সরকার। জানা গেছে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এখনও এ ধরনের রূপান্তরিত যানবাহনকে ফিটনেস সনদ দিচ্ছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, নতুন আইনের আওতায় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, কারণ যে ট্রাস্টি বোর্ড এ  বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে, তারা এখনো কাজই শুরু করতে পারেনি এবং বিধিমালা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজ শুরু করতেও পারবে না।

আমাদের জানা মতে, বিআরটিএ অবশেষে খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে এবং এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাইয়ের অপেক্ষায় আছে। আমাদের মতে এই প্রক্রিয়াটি শেষ করতে আইন মন্ত্রণালয়ের খুব বেশি সময় লাগা উচিত নয়। তবে তাদের যাচাইয়ের পর আরো বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রমের পরই এটি কার্যকর হবে।

আমরা একই সঙ্গে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর সংশোধন নিয়েও চিন্তিত। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংশোধিত আইনের একটি খসড়া তৈরি করেছে, যেখানে ১২৬টি ধারার মধ্যে ২৯টিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং অন্তত ১৪টি ধারার ক্ষেত্রে শাস্তি অথবা জরিমানার পরিমাণ কমানো হয়েছে। এই খসড়া সংশোধনী চূড়ান্ত করার আগে সরকারের উচিত সকল অংশীজনের মতামত নেওয়া।

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান।

Comments

The Daily Star  | English

Horrors inside the Gaza genocide: Through a survivor’s eyes

This is an eye-witness account, the story of a Palestinian in Gaza, a human being, a 24-year-old medical student, his real human life of love and loss, and a human testimony of war crimes perpetrated by the Israeli government and the military in the deadliest campaign of bombings and mass killings in recent history.

1d ago