পূর্ণিমার ‘মুন্সিগিরি’

চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা প্রথমবারের মতো ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেছেন। অমিতাভ রেজা পরিচালিত ওয়েব ফিল্মটি এ মাসেই মুক্তির কথা। সম্প্রতি ওয়েব ফিল্মে অভিনয়, নতুন সিনেমার শুটিং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন পূর্ণিমা।
অভিনেত্রী পূর্ণিমা। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা প্রথমবারের মতো ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেছেন। অমিতাভ রেজা পরিচালিত ওয়েব ফিল্মটি এ মাসেই মুক্তির কথা। সম্প্রতি ওয়েব ফিল্মে অভিনয়, নতুন সিনেমার শুটিং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন পূর্ণিমা।

অমিতাভ রেজা'র 'মুন্সিগিরি' ওয়েব ফিল্মে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?

'মুন্সিগিরি' আমার অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম। প্রথমবার ওয়েব ফিল্মে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা অন্যরকম ছিল। অমিতাভ রেজা দারুণ একজন পরিচালক। 'মৃতরাও কথা বলে' গল্প অবলম্বনে 'মুন্সিগির' নির্মিত হয়েছে।

চঞ্চল চৌধুরীর বিপরীতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা বলুন…

১৩ বছর আগে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে একটি নাটক করেছিলাম। 'বুনো ফুলের ঘ্রাণ' নাটকটি তখন ঈদে প্রচারিত হয়েছিল। এতবছর পর তার সঙ্গে আবার অভিনয় করলাম। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। দর্শকপ্রিয় একজন অভিনেতা তিনি। এককথায় বললে বলব- চমৎকার অভিজ্ঞতা। অভিনেতা হিসেবে যেমন অসাধারণ, মানুষ হিসেবেও দারুণ।

ওয়েব ফিল্মে অভিনয়ের প্রস্তাব পাচ্ছেন?

প্রতিদিন ২-৩টি ওয়েব ফিল্মে অভিনয়ের প্রস্তাব পাচ্ছি। সব কাজ তো নেওয়া সম্ভব নয়। গল্প, চরিত্র, লোকেশন, বাজেট সব মিলিয়ে একটা ব্যাপার তো আছেই। অনেক প্রস্তাবের মধ্যে থেকে ১টি বা ২টি কাজ করতে পারি। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী মাসে হয়তো আরেকটি ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করব।

৮ মাস পর সিনেমার অভিনয়ে ফিরলেন, গাঙচিলের শুটিং কী এবার শেষ হচ্ছে?

নানা কারণে শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি। গতকাল শুটিং করেছি নতুন করে। একটি গান বাকি আছে। আশা করছি এবার শেষ হবে। সামনে ডাবিং করতে পারব। তারপর সিনেমাটি মুক্তির জন্য সেন্সরে জমা দেওয়া হবে।

সিনেমা দিয়েই আপনার পরিচিতি ও দর্শকপ্রিয়তা। এফডিসির ঘরানার সিনেমার সঙ্গে এখন ওয়েব ফিল্মের তুলনা করা হয়। আপনার মন্তব্য কী?

এফডিসি'র সিনেমা এবং ওয়েব ফিল্ম ২টি ২ রকম বিষয়। একটি টিকিট কেটে সিনেমা হলে গিয়ে দেখতে হয়। আরেকটি ঘরে বসে দেখা যায়। ওয়েব ফিল্মের আয়োজন কিছুটা বড়। সময় নিয়ে কাজ করা হয়। কিন্তু, ২টি ২ রকম কাজ। আমি তাই মনে করি।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের যে মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে তা কাটিয়ে কী আবার সুদিন ফিরবে?

আমি আশাবাদী মানুষ। সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করলে সুদিন ফিরবে। আমাদের সিনেমার ঐতিহ্য আছে। চেষ্টা করলে সব হয়। আমি বিশ্বাস করি একদিন আমাদের সিনেমা আবার ঘুরে দাঁড়াবে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank again dissolves National Bank board

The bank’s sponsor director Khalilur Rahman made the new chairman

24m ago