রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফরে আমি কোনো আউটকাম পাইনি: ফখরুল

প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফর প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফরে আমি কোনো আউটকাম পাইনি। আজ রোববার রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফর প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফরে আমি কোনো আউটকাম পাইনি। আজ রোববার রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা এদিন মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিন, কৃষক দলের নতুন কমিটির জ্যেষ্ঠ  সহসভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, সহসভাপতি গৌতম চক্রবর্তী, যুগ্ম সম্পাদক টিএস আইয়ুব, মোশাররফ হোসেন ও দফতর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিউইর্য়ক সফরে আমি কোনো আউটকাম পাইনি। এমনকি রোহিঙ্গাদের যে সমস্যা সেই সমস্যারও তিনি কোনো সমাধান নিয়ে আসতে পারেননি। আমরা মনে করি রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী, এই সরকার— তারা কোনো ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেনি।

ফখরুল বলেন, অর্জন তার একটাই তা হলে আরও মিথ্যাচার কীভাবে করা যায়। আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন তার গোটা বক্তৃতার মধ্যে দেশে যে গণতন্ত্র নেই, দেশে যে মানুষের অধিকারগুলো হরণ করা হয়েছে, দেশে যে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ ধবংস করে দেওয়া হয়েছে, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য যে সমস্ত উপাদান দরকার তার প্রত্যেকটিকে ধবংস করে দিয়ে এখানে সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই অবস্থা থেকে কীভাবে তিনি দ্রুত সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করবেন এবং নির্বাচনি ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিণত করবেন, জনগণের অসহায় অবস্থা কীভাবে দূর করবেন সেই সম্পর্কে তিনি কোনো কিছু উল্লেখ করেননি।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের ইতিবাচক ভূমিকা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু জিইয়ের রেখে সরকার আন্তর্জাতিক যে সুবিধা, সেই সুবিধাগুলো গ্রহণ করতে চায়। এখন পর্যন্ত শুধু রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তারা দেশ সফর করেনি। বিশেষ করে যারা স্টেক হোল্ডার আছে যে দেশগুলো যেমন চীন ও ভারত তাদের কাছে সরকার এখন পর্যন্ত যেতে পারেনি এবং এই সমস্যার কোনো সমাধান কোনো পথ তারা বের করতে পারেনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমরা যেটা সব সময় প্রত্যাশা করি, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য জনগণের যে অধিকার, তার ভোটের অধিকার, বাকস্বাধীনতার অধিকার তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। তারা সত্যিকার অর্থেই পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। যাতে সত্যিকারভাবে জনগণের পার্লামেন্ট ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পায়।

গত ২০ সেপ্টেম্বর কৃষক দলের ৭ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি। ২২ বছর পর গত ১২ মার্চ চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠান হলেও ৫ মাস পরে এই আংশিক কমিটি পেল কৃষক দল। ১৯৯৮ সালে গঠিত কমিটির সভাপতি ছিলেন মাহবুব আলম তারা এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু।

Comments

The Daily Star  | English

There is a reason why daily news has become so depressing

Isn't there any good news? Of course, there is. But good news doesn't make headlines.

8h ago