রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড প্রভাব ফেলবে না: পররাষ্ট্র সচিব

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা প্রত্যাবাসনে কোন ধরণের প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা প্রত্যাবাসনে কোন ধরণের প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

আজ শনিবার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিকেলে ঢাকায় ফেরার পথে কক্সবাজার বিমান বন্দরে পররাষ্ট্র সচিব এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, 'আমরা মুহিবুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। ক্যাম্পে কোন ধরনের অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।'

তিনি বলেন প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর জন্য নানা উদ্যোগ চলমান। ভাসানচর প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ যুক্ত হয়েছে। সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে।

দেশীয় গণমাধ্যমকে ক্যাম্পে প্রবেশে কোন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, 'এমন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

দুই দিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে শনিবার দুপুরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনাস্থল কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে নিহত মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিব উল্লাহর সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি, ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়ক মহাপরিচালক ফায়াজ মুর্শিদ কাজি, মহাপরিচালক মো. আলীমুজ্জামান ও সহকারী সচিব শোয়াইব-উল ইসলাম তরফদার ছিলেন।

গতকাল শুক্রবার দুদিনের সফরে কক্সবাজারে আসেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এর নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল। শনিবার বিকেলে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদল দুর্বৃত্ত মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে। এই ঘটনার পর ক্যাম্পগুলোতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।

মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) নামে একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Time for a cautious approach to managing Bangladesh's external debt

A key factor driving the rising debt-servicing obligations of Bangladesh originates from the country’s middle-income graduation.

14h ago