তিস্তার পানির তোড়ে সড়ক ভেঙে লালমনিরহাট-রংপুর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

পানির তোড়ে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় কাকিনা-মহিপুর রুটে লালমনিরহাটের সঙ্গে রংপুরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বুধবার রাত ৮টার দিকে সড়কটির প্রায় ৩০০ মিটার ভেঙে যায়।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বুধবার রাতে কাকিনা-মহিপুর সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার ভেঙে যায়। ছবি: এস দিলীপ রায়/ স্টার

পানির তোড়ে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় কাকিনা-মহিপুর রুটে লালমনিরহাটের সঙ্গে রংপুরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বুধবার রাত ৮টার দিকে সড়কটির প্রায় ৩০০ মিটার ভেঙে যায়।

এই রুটে লালমনিরহাটের চারটি উপজেলা আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামের মানুষ রংপুরে যাতায়াত করেন।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে আকস্মিকভাবে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বুধবার দিনভর তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এতে নদীতে পানির স্রোত তীব্র রূপ নেয়। পানির তোড়ে কাকিনা-মহিপুর সড়কের কিছু অংশ ভেঙে যায়।

ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, 'এই রুটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় আমাদেরকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে রংপুরে যেতে হচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'কাকিনা-মহিপুর সড়ক দিয়ে ২০ মিনিটি রংপুরে যেতে পারতাম এখন লালমনিরহাট সদর দিয়ে ঘুরে রংপুরে যেতে সময় লাগছে প্রায় তিন ঘণ্টা।'

এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানিতে তিস্তা ব্যারেজের ফ্লাড বাইপাস সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় লালমনিরহাটের সাথে নীলফামারীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে বুধবার সকাল থেকে। স্থানীয়রা এখন নৌকায় চড়ে পাড়ি দিচ্ছেন ফ্লাড বাইপাস সড়কটি। তিস্তা নদীর পানির তোড়ে সড়কটি বুধবার সকালে ভেঙে যায়।

লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান জানান, পানি কমে গেলে ভাঙন কবলিত সড়কটি মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশফা উদ্দৌলা প্রিন্স জানান, পানি নেমে যাওয়ার পর ভাঙন কবলিত ফ্লাড বাইপাস সড়কটি মেরামতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত নেবে।

Comments

The Daily Star  | English

Three difficult choices to heal economy

Bangladesh yesterday made three major decisions to cushion the economy against critical risks such as stubborn inflation and depletion of foreign currency reserves.

5h ago