গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয় না: ফখরুল

দেশে নির্মম রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয় না। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নেয়, নিয়ে নির্বাচনে চেয়ারম্যান হয়ে যায়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ছবি

দেশে নির্মম রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয় না। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নেয়, নিয়ে নির্বাচনে চেয়ারম্যান হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, সেখানে তার যে বলয় তৈরি হয়, তার আশে পাশের লোকজনের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়ে যায়। এই বিভাজন ক্রমশ এত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষ আইসোলেট করে ফেলেছে আওয়ামী লীগারদের।

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে রাজনীতিবিদ অলি আহাদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, এখানে মানুষকে হত্যা করতে কোনো সময় লাগে না। মানুষকে নির্যাতন করতে কোনো সময় লাগে না। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সেই চেষ্টা আমরা করছি। আমরা গত ১৪ বছর ধরে এই ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করছি। এর মধ্যে আমাদের ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, গায়েবি মামলা হয়েছে, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। ৫০০ এর বেশি নেতা-কর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছে। সহাস্রাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও এখন পর্যন্ত আমরা হাল ছেড়ে দিইনি।

তিনি বলেন, আমার বাসার সামনে রিকশা স্ট্যান্ড আছে। রিকশা শ্রমিক ভাইরা মাঝে মাঝে ঝগড়া করে। একজন আরেকজনকে গালি দেয়। আমার নিজে কানে শোনা, একজন গালি দেওয়ায় আরেকজন বলছে, 'তুই তো আওয়ামী লীগের মতো কথা বলছিস'। দিস ইজ দ্য ফিলিং অব কমন পিপল। আওয়ামী লীগ এখন গালিতে পরিণত হয়েছে।

ঐক্যের কথা আমরা সব সময় বলে এসেছি। আমরা ঐক্য করেছি। ২০১৮ সালে আমরা বাম এবং ডানকে একসঙ্গে এনে আমরা চেষ্টা করেছি। উনারা অবশ্য আসেননি। কারণ উনাদের ধারণা একটু অন্য। এখনো আমরা চেষ্টা করছি। আমরা বাংলাদেশে সমস্ত মানুষকে একটা জায়গায় আনতে চাই। সেই জায়গাটা হলো গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা। গণতন্ত্র যদি আমরা পেয়ে যাই তখন অন্যান্য বিষয়ে কাজ করতে পারবো। তখন উনারাও কাজ করতে পারবেন। এখন উনারাও কথা বলতে পারেন না, আমরা কথা বলতে পারি না। সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের অনুরোধ করবো, আমরা আমাদের ছোটখাটো সমস্যাগুলো ভুলে যাই। আসুন না আমরা একখানে, এক হয়ে, ঐক্যবদ্ধভাবে ১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো ছিল সেগুলোকে আবার ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করি, সংগ্রাম করি— বলেন ফখরুল।

তিনি আরও বলেন, অনেকে অনেক কথা বলেন। খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং জেল খেটেছেন। তারপর জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে একটা সরকার গঠন করেছিলেন। এখনো তিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে করতে গৃহে অন্তরীণ হয়ে আছেন। একটা মিথ্যা মামলা তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে। যে টাকার কথা বলা হয়েছে, সেই টাকা ৪ গুণ হয়েছে ওই অ্যাকাউন্টে। গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়ার যে অবদান আছে, সেটা স্বীকার করতে অনেকে দ্বিধা বোধ করেন। এখনো তিনি লড়াই করছেন। এই বৃদ্ধ বয়সে, অসুস্থ অবস্থায় তিনি অন্তরীণ হয়ে আছেন।

Comments

The Daily Star  | English

The story of Gaza genocide survivor in Bangladesh

In this exclusive interview with The Daily Star, Kamel provides a painful firsthand account of 170 days of carnage.

1d ago