জামাল-তপুর লক্ষ্যভেদে মালদ্বীপকে হারাল বাংলাদেশ

ছবি: শ্রীলঙ্কা ফুটবল

আরও একবার এগিয়ে যাওয়ার পর গোল হজম করে পয়েন্ট হারাতে বসেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষদিকে হতাশা ঝেড়ে ফেলে দলকে উল্লাসের জোয়ারে ভাসালেন তপু বর্মণ। এই তারকা ডিফেন্ডারের নিখুঁত পেনাল্টিতে মালদ্বীপকে হারিয়ে দিল মারিও লেমোসের শিষ্যরা।

শনিবার শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে চার জাতি টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। এতে আসরের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে তাদের। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে তারা।

অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া প্রথমার্ধের শুরুর দিকে লিড পাইয়ে দেন লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। বিরতির আগেই মালদ্বীপকে সমতায় ফেরান মোহাম্মদ উমাইর। এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিটের অল্প সময় বাকি থাকতে বাংলাদেশের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন তপু।

ছবি: বাফুফে

১৮ বছর পর মালদ্বীপকে হারানোর মধুর স্বাদ নিল বাংলাদেশ। গত মাসে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দুই দলের সবশেষ দেখায় ৩-১ গোলে হেরেছিলেন জামাল-তপুরা।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের নামে আয়োজিত আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। মোহাম্মদ ইব্রাহিমের গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষ সময়ে বাংলাদেশের হৃদয় ভেঙে সমতায় ফিরেছিল সিশেলস।

পুরো ম্যাচে দল দখলে আধিপত্য দেখায় মালদ্বীপ। তবে খুব বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। অন্যদিকে, সিশেলসের বিপক্ষে গত ম্যাচের হতাশাজনক ফলের পর এদিন বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো খেলা উপহার দিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণাত্মক কৌশল বেছে নিলেও শেষদিকে পাওয়া সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি তপু।

ম্যাচের ১২তম মিনিটে বাংলাদেশের রাইট-ব্যাক রহমত মিয়া লম্বা করে থ্রো-ইন নিয়ে বল ফেলেন প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে। এরপর মালদ্বীপের এক ডিফেন্ডারের মাথায় লেগে গোলপোস্টের খুব কাছে ফাঁকায় বল পেয়ে যান জামাল। আলতো টোকায় নিশানা ভেদ করেন এই মিডফিল্ডার।

শুরুতে জামালের বিপক্ষে অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন লাইন্সম্যান। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবলাররা প্রতিবাদ জানালে সেটা আমলে নেন রেফারি। তিনি লাইন্সম্যানের সঙ্গে আলাপ করে গোলের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেন।

৩৩তম মিনিটে ম্যাচের স্কোরলাইন ১-১ করে মালদ্বীপ। সতীর্থের কর্নার থেকে দূরের পোস্টে বল পেয়ে যান অধিনায়ক আকরাম আব্দুল ঘানি। তার পাসে ছয় গজের বক্সের ভেতর থেকে বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে পরাস্ত করেন উমাইর।

ছবি: বাফুফে

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের কেউই নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। তবে মালদ্বীপের খেলায় প্রকাশ পাচ্ছিল বাড়তি গোলের জন্য তাড়না। কিন্তু অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে পেনাল্টি পেয়ে যায় বাংলাদেশ।

পেনাল্টি পাওয়ার পেছনে অবদান আছে বাংলাদেশের দুই বদলি খেলোয়াড় মাহবুবুর রহমান সুফিল ও জুয়েল রানার। মালদ্বীপের এক ডিফেন্ডারের ভুলে মাঝমাঠের সামনে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে যান ফরোয়ার্ড সুফিল। তিনি পাস বাড়ান মিডফিল্ডার জুয়েলের উদ্দেশ্যে। তিনি ডি-বক্সে বল ধরতে গেলে শিকার হন ফাউলের। তাকে ফেলে দেন মালদ্বীপের গোলরক্ষক আলী নাজিহ।

৮৭তম মিনিটে স্পট-কিক থেকে বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি তপু। ডান পায়ের জোরালো শটের লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। নাজিহর কোনো সুযোগই ছিল না শট ঠেকানোর। সফল পেনাল্টিতে ছয় গোল নিয়ে বর্তমান বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গেলেন তপু।

আগামী ১৬ নভেম্বর রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির আসরে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

Comments

The Daily Star  | English

JnU protests called off

Students and teachers of Jagannath University called off their protest last night after receiving assurances from the government that their demands would be met.

4h ago