ক্রিকেটকে বিদায় বললেন তুষার ইমরান
ইচ্ছেটা ছিল আরও কিছু দিন খেলার। অন্তত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১২ হাজার রান করেই থামবেন। কিন্তু তার আর হলো কোথায়। একের পর এক ইনজুরিতে শেষ পর্যন্ত প্যাড-গ্লাভস খুলে রাখতেই হলো তুষার ইমরানকে। সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের এ রানমেশিন।
রোববার (২১ নভেম্বর) সাভারের বিকেএসপিতে জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন তুষার। যদিও ইনজুরির কারণে এ ম্যাচে খেলতে পারছেন না খুলনা বিভাগের এই ক্রিকেটার। এর আগের দুটি ম্যাচও খেলতে পারেননি একই কারণে।
ঘোষণাটা অবশ্য আগের দিনই সামাজিক মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছিলেন তুষার, 'আগামীকাল (রোববার) প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে মাঠে যাব। দোয়া করবেন।' এদিন এলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
গত ৭-১০ নভেম্বর রংপুর বিভাগের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটিই তুষারের শেষ ম্যাচ। সেদিন প্রথম ইনিংসে ফিরেছিলেন খালি হাতে। দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১৫ রান। শেষ ম্যাচে খেলতে না পারলেও খুলনা দলের সঙ্গেই আছেন তুষার। বিকেএসপিতে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে তাকে দেয়া হয়েছে সংবর্ধনা।
প্রায় ৩৮ ছুঁইছুঁই এ ব্যাটার মাঠের ক্রিকেট ছাড়লেও জড়িত থাকছেন ক্রিকেটেই। বিদায় বেলায় সে ইঙ্গিতই দিলেন তিনি, 'একজন ক্রিকেটার হয়ে ক্রিকেটের বাইরে থাকা বেশ কঠিন। তাই খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ হলেও ভবিষ্যৎ ক্রিকেটার তৈরিতে নিজেতে ব্যস্ত রাখতে চাই।'
অবশ্য খেলা ছাড়ার আগেই কোচিংয়ে নাম লিখিয়েছেন তুষার। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট একাডেমির প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় দলে বেশ সম্ভাবনা নিয়েই যোগ দিয়েছিলেন তুষার। তবে ৪১টি ওয়ানডে ও ৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলেই থামতে হয় তাকে। ২০০৭ সালে বাদ পড়ার পর আর সুযোগ মিলেনি। যদিও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়মিতই রান করেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে করেছেন ১১,৯৭২ রান। তুষারই বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার যিনি ১০ হাজারের বেশি রান করেছেন। এছাড়া লিস্ট এ ক্রিকেটেও করেছেন ৪৪৩৯ রান।
Comments