শেষদিকে গোল হজম করায় 'ক্ষুব্ধ ও হতাশ' জাভি

ছবি: সংগৃহীত

জিতলে লা লিগার পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু শেষদিকে গোল হজম করে সেটা হাতছাড়া করল বার্সেলোনা। ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হওয়ায় ক্ষুব্ধ কোচ জাভি প্রকাশ করেছেন তীব্র হতাশা।

গ্রানাদার মাঠে আগের রাতে লিগের ম্যাচটি শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। লুক ডি ইয়ংয়ের গোলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারী বার্সা। এরপর ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে স্বাগতিকদের পক্ষে সমতা টানেন আন্তোনিও পুয়ের্তাস।

ম্যাচের পর বার্সেলোনা কোচ তুলে ধরেন নিজেদের ঘাটতির কথা, 'আমরা খুশি মনে (নিজেদের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে) ফিরতে পারছি না। আমরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ। আমাদের অভিজ্ঞতারও ঘাটতি রয়েছে। এটা স্পষ্ট।'

ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কাতালানদের তরুণ মিডফিল্ডার গাভি। ফলে শেষদিকে ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় তাদের। এ প্রসঙ্গে স্পেন ও বার্সার সাবেক ফুটবলার জাভি বলেন, 'আমি রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতে চাই না। (গাভিকে) বহিষ্কারের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আমি কথা বলছি। একজন কম থাকায় আমাদের নিচে নেমে (রক্ষণাত্মক কৌশলে) খেলতে হয়। আর এটাই আমাদের ক্ষতি করেছে। কারণ, আমরা এভাবে খেলতে অভ্যস্ত নই।'

শিষ্যদের কাছে পারফরম্যান্সের উন্নতি চাওয়া তার, 'আমরা বোকার মতো (অনেকবার) বলের দখল হারিয়েছি। আমাদের আত্ম-সমালোচনা করতে হবে। আমাদের আরও অনেক কিছু করতে হবে- (আক্রমণ করতে) উপরে উঠতে হবে, সুযোগ তৈরি করতে হবে। আমরা যদি উন্নতি করতে চাই তাহলে আমাদের আরও অনেক কিছু করতে হবে এবং এখন থেকেই সেটা শুরু করতে হবে।'

তবে পয়েন্ট আদায় করে নেওয়ায় প্রতিপক্ষকে কোনো কৃতিত্ব দেননি জাভি, '(ম্যাচের এই ফলে গ্রানাদার) কোনো কৃতিত্ব নেই, বরং আমাদের ব্যর্থতার কারণে এটা হয়েছে।'

২০ ম্যাচে আটটি করে জয় ও ড্রয়ে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগায় ষষ্ঠ স্থানে আছে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। ১২ নম্বরে থাকা গ্রানাদার পয়েন্ট ২০ ম্যাচে ২৪।

Comments

The Daily Star  | English
International Crimes Tribunal 2 formed

Govt issues gazette notification allowing ICT to try political parties

The new provisions, published in the Bangladesh Gazette, introduce key definitions and enforcement measures that could reshape judicial proceedings under the tribunals

3h ago