এখনই বন্ধ হচ্ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও এখনই  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার দরকার নেই বলে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯-এর জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি (এনটিএসি)। 

আজ রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। 

বৈঠকের পর এনটিএসি-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা এখনকার মতো ব্যক্তিগতভাবে একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করেছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা আবার বসব এবং প্রয়োজনে সেরা বিকল্পটি ঠিক করার জন্য আলোচনা করব।'

তিনি আরও বলেন, 'স্কুল-কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি আমরা বন্ধ করে দিই, তাহলে সেটারও ইমপ্যাক্ট অনেক বেশি। আবার খোলা রেখে যদি সংক্রমণ বেড়ে যায়, তাহলেও সমস্যা। সবকিছু মিলিয়ে এখন যেহেতু আমাদের ৬-এর ওপরে সংক্রমণের হার, সেটাকে বিবেচনায় রেখে এই ব্যবস্থাগুলো নিয়ে আমরা স্কুল-কলেজগুলো যেভাবে চলছে, সেভাবে খোলা থাকবে। কিন্তু কোনো কারণে যদি পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করার ব্যাপারে চিন্তা করা হবে।'

এর আগে শনিবার করোনা সংক্রমণ বাড়ার সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, 'আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না। টিকা নিয়ে যেন শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসে—সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'

গত শনিবার মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে করোনার টিকা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকার কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য ৫ দফা নির্দেশনাও দিয়েছে মাউশি।

মাউশির ঘোষণায় বলা হয়েছে, ১২ থেকে ১৮ বছরের সব শিক্ষার্থী টিকা গ্রহণ করবে।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান টিকা গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনে শিক্ষার্থীদের টিকাকেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন। একই সঙ্গে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষককেও টিকাকেন্দ্রে পাঠাবেন।

টিকা গ্রহণ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না।

টিকা কার্যক্রম চলমান অবস্থায় সব কটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অঞ্চল, জেলা শিক্ষা কার্যালয়, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Advisory council set to hold emergency meeting this evening

Sources from the CA office confirmed that the meeting will take place at the State Guest House, Jamuna

1h ago