শিল্পীদের ‘ভূমিহীন’ বলার অধিকার কারো নেই: রিয়াজ

ঢালিউডের দর্শকপ্রিয় নায়ক রিয়াজ এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন। এই নির্বাচন ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের মুখোমুখি হন এই অভিনেতা। কথা বলেছেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
অভিনেতা রিয়াজ। স্টার ফাইল ফটো

ঢালিউডের দর্শকপ্রিয় নায়ক রিয়াজ এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন। এই নির্বাচন ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের মুখোমুখি হন এই অভিনেতা। কথা বলেছেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।

এবারের নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদের প্রার্থী হয়েছেন। শিল্পীদের নিয়ে আপনার নিজস্ব মতামত জানতে চাই-

আমার একটাই কথা, শিল্পীদের প্রাপ্ত সম্মান রাখতে চাই। সম্মানের জায়গায় রাখতে চাই তাদের। শিল্পীরা একটু সম্মান ও ভালোবাসা চান। আর এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজন সিনেমার উন্নয়ন। সেটাও চাই। সিনেমার উন্নয়ন হলে শিল্পীদের কাজ বাড়বে। সবাই মিলে মিশে কাজ করতে চাই। আরেকটি কথা, ৫ টাকা দান করে ৫০ টাকা বললে তো হবে না। এসব তো মানুষ বোঝে। এভাবে সমিতি চলতে পারে না। জয়ী হতে পারলে শিল্পীদের ভালোর জন্য সব করব।

জয়ের ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী?

মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। এখন সবার কাছে ভোট চাইব। যাকে শিল্পীরা ম্যান্ডেট দেবেন সেই জয়ী হবেন। সমিতির সদস্যদের ভোটের ওপর নির্ভর করছে কে জয়ী হবেন। তারপরও আমরা বা আমার প্যানেল আশাবাদী।

সদ্য গত হওয়া কমিটির সঙ্গে অনেকের যেমন দ্বন্দ্বের কথা শোনা গিয়েছিল, একইভাবে প্রযোজক সমিতির একটি দ্বন্দ্বের কথা আলোচনায় এসেছিলে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য-

এই দ্বন্দ্বের কারণে অনেক প্রযোজক সিনেমা প্রযোজনা করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এটা তো সিনেমার জন্য ক্ষতিকর। সিনেমার সংখ্যা বাড়াতে হবে। শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজকসহ অন্য যারা আছেন সবাইকে নিয়েই তো চলচ্চিত্র পরিবার। সমিতির প্রতিটি সদস্যর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা নির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব। প্রতিটি সংগঠনের সঙ্গেও সুন্দর সম্পর্ক রাখা প্রয়োজন।

আপনাদের বিরোধী প্যানেল নিয়ে কী বলবেন?

তাদের জন্য শুভ কামনা ও ভালোবাসা। মৌসুমী গত নির্বাচনে যাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে হেরেছিলেন, এবার তাদের প্যানেলে গিয়ে নির্বাচন করছেন। মৌসুমীর জন্যও ভালোবাসা রইল।

শোনা যাচ্ছে এফডিসিতে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বাড়ানো হয়েছে? এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য-

প্রচুর পুলিশ এনেছে এফডিসিতে। কারা এনেছে জানি না। কেন এনেছে তাও জানি না। শিল্পীরা তো শিল্পী। তারা তো অন্যকিছু না। তাহলে এত পুলিশ কেন?

আপনাদের বিরোধী প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জায়েদ খান বলেছেন- কিছু 'ভূমিহীন' শিল্পীর জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করবেন। শিল্পীদের 'ভূমিহীন' বলাটাকে কতটা যৌক্তিক মনে করছেন?

কিছু শিল্পীদের 'ভূমিহীন' বলায় তীব্র প্রতিবাদ করছি। নিন্দা জ্ঞাপন করছি। এটা বলার অধিকার কারো নেই। শিল্পীর পরিচয় শিল্পী। টাকা-পয়সা সবার একরকম নাও থাকতে পারে। যারা 'ভূমিহীন' বলছেন তাদের এই মূর্খতার অবসান কামনা করছি।

একটি চেয়ারের জন্য শিল্পীদের যত ছোট করা যায় তা করেছে। গতবছর নির্বাচনের আগে বলেছিল জমি ও বাড়ি দেবে। কিছু শিল্পী গত কমিটির সদস্যদের মিথ্যা কথা বিশ্বাস করেছিল। পরে ঠিকই টের পেয়েছে মিথ্যা প্রতিশ্রুতির কথা। আর যাই হোক কিছু শিল্পীকেও 'ভূমিহীন' বলা যায় না। গত ৪ বছর তারা সমিতির নেতৃত্বে ছিলেন- ভূমি কিংবা জমি দিয়েছেন কী? শিল্পীদের আর নিচে নামানোর চেষ্টা করবেন না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে- অন্তত একজন শিল্পীর নাম জানতে চাই- যাকে জমি বা বাড়ি দিয়েছে। একটি চেয়ারের জন্য এমন নোংরামির অবসান কামনা করি।

Comments

The Daily Star  | English

Goods worth Tk 16k imported at Tk 2.59 crore

State-run Power Grid Company of Bangladesh Ltd (PGCBL) imported 68 kilograms of tower bolts, nuts and washers from India for a whopping $2,39,695 or Tk 2.59 crore, which is 1,619 times the contract value.

3h ago