রাজনীতি

ইসি গঠন বিল পাশ: সারাদেশে বাম জোটের বিক্ষোভ শনিবার

জাতীয় সংসদে নির্বাচন কমিশন গঠন বিল পাশ হওয়ায় আগামী শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বাম জোট।
মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বাম জোট আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত নির্বাচন কমিশন আইন-জনপ্রত্যাশা ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদে নির্বাচন কমিশন গঠন বিল পাশ হওয়ায় আগামী শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বাম জোট।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জোটের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সকালে মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বাম জোট আয়োজিত 'প্রস্তাবিত নির্বাচন কমিশন আইন-জনপ্রত্যাশা ও করণীয়' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, সরকারের নতুন নির্বাচন কমিশন আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে আর একটি সরকার অনুগত নির্বাচন কমিশন গঠন করা। যারা আগামী নির্বাচনে সরকারি দলের পক্ষে রাবার স্ট্যাম্প হিসাবে কাজ করবে। অনুগ্রহপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত সার্চ কমিটির মাধ্যমে আর একটি মেরুদণ্ডহীন অকার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। যাদের কাজ হবে সরকারি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সভার সভাপতি জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ব্রতীর নির্বাহী প্রধান শারমিন মোর্শেদসহ অন্যান্যরা।

ড. শাহদীন মালিক বলেন, সরকারের অনুগ্রহপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নিয়ে সার্চ কমিটি ও তাদের অনুগত ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কথিত নির্বাচন আইনকে 'সরকারি দলের পক্ষে নির্বাচনী ফলাফল নিশ্চিতকরণ আইন' বলা যেতে পারে। একইভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকেও 'বাক স্বাধীনতা রুদ্ধকরণ' আইন বলা যেতে পারে। তিনি বলেন, একক কর্তৃত্বেই এসব কথিত আইন তৈরি হচ্ছে, যা লজ্জাকর ও গ্লানিকর এবং মুক্তিযুদ্ধের গণতান্ত্রিক চেতনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সার্চ কমিটির প্রজ্ঞাপনকে এখন আইনি আবরণ দেয়া হচ্ছে। বাস্তবে অনুসন্ধান কমিটির যোগ্য ব্যক্তিদের অনুসন্ধানের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন আইন নামে যা হচ্ছে তা নিতান্তই আনুষ্ঠানিকতা, সবকিছু হবে প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী।

শারমিন মোর্শেদ বলেন, আইন প্রণয়নের পুরো প্রক্রিয়াই অস্বচ্ছ। সরকারের এই তৎপরতায় জনগণের কোনো আস্থা নেই। দেখে মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন নামে আমরা আবার মেরুদণ্ডহীন কিছু লোক পাব।

এসময় আইনের বিষয়ে ৭টি আপত্তি উত্থাপন করা হয় জোটের পক্ষ থেকে।

তার মধ্যে, বিল প্রণয়নের আগে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হয়নি, মতামত নেয়া হয়নি, সরকারি দলের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণে থাকা সংসদকেও পাশ কাটিয়ে এই বিল প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত সার্চ কমিটিতে সংসদে থাকা রাজনৈতিক দলেরও কোন প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি, সার্চ কমিটিতে ২ জন বিচারক, ২ জন সাংবিধানিক পদাধিকারী ও রাষ্ট্রপতির মনোনীত ২জন ব্যক্তি রাখার যে বিধান যুক্ত করা হয়েছে তা পক্ষপাতদুষ্ট ও দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে নয় বলে উল্লেখযোগ্য।

Comments

The Daily Star  | English

Upazila Polls: AL, BNP struggle to keep a grip on grassroots

The upazila election has exposed how neither of the two major parties, the Awami League and BNP, has full control over the grassroots leaders.

2h ago