প্রাণের মেলায় বিদায়ের সুর

বইমেলায় বেজে উঠছে বিদায়ের সুর। আর ২ দিন পরেই এ বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলার সমাপ্তি হবে।
মেলায় এখন যারা আসছেন, তাদের অধিকাংশই বই কিনে ফিরছেন। ছবি: ইমরান মাহফুজ/স্টার

বইমেলায় বেজে উঠছে বিদায়ের সুর। আর ২ দিন পরেই এ বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলার সমাপ্তি হবে।

মঙ্গলবার মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, পাঠকরা ক্যাটালগ দেখে সংগ্রহ করে নিচ্ছেন পছন্দের বই। সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে অনেক নতুন লেখকের বই।

স্টলকর্মীরা জানান, মেলার শেষ দিকে প্রতিদিন বিক্রি ভাল হয়। এখনো প্রতিদিন শতাধিক বই আসছে মেলায়। এটি শেষ দিন পর্যন্ত চলতে থাকে।

ডেইলি স্টার বুকসের আশিক মীর জানান, মেলার শুরুতে দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল বেশি। বিক্রিও তেমন হয়নি। তবে এখন যারাই মেলায় আসছেন, তারা সাধারণত বই কিনতেই আসছেন।'

শেষ দিকে এসে কেউ মেলা থেকে খালি হাতে ফিরছেন না বলে জানান তিনি।

এদিকে চাপা ক্ষোভ দেখা গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের লেকপাড়ে স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোর প্রকাশকদের মধ্যে।

বিদ্যা প্রকাশকের প্রকাশক মুজিবর রহমান খোকা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মেলা এত বড় করা উচিত হয়নি। পাঠক, দর্শনার্থীরা পুরো মেলা ঘুরে আসার সুযোগ পায় না।'

'অনেক আশা নিয়ে আয়োজন করলেও, সবার আশা পূরণ হয় না। বিশেষ করে বিক্রিতে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। তবু মেলার শেষে এসে খারাপ লাগছে,' বলেন তিনি।

নতুন প্রকাশনা পেন্ডুলাম বুকসের প্রকাশক রুমানা তারশিক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এবার ২০২১ সালের তুলনায় বেশি বিক্রি হয়েছে। তবে এখনো গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার মতো বিক্রি হয়নি।'

মেলা কমিটি ইট বিছানো রাস্তায় বালু ফেলার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেনি বলে মেলায় বেশ সমস্যা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কথাসাহিত্যিক হরিশঙ্কর জলদাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বইমেলার মাসে চট্টগ্রাম থেকে ৩-৪ বার আসার চেষ্টা করি। পাঠকদের সঙ্গে দেখা হয়, ভালো লাগে। এবারের মেলার পরিসরের বড় হওয়ায় ঘুরে শান্তি পাওয়া গেছে।'

'কিন্তু মেলার বিদায়ের সময় খুব খারাপ লাগে। এটা অন্যরকম খারাপ লাগা, বলে বুঝানো যাবে না,' যোগ করেন তিনি।

কবি পিয়াস মজিদ বলেন, 'সারা বছরই বই প্রকাশ হওয়া উচিত। তবে বইমেলার বিশেষ আবেদন তো আছেই। কিন্তু মেলায় সংগ্রহ করা অনেক বইয়ে অযত্নের ছাপ দেখেছি তাড়াহুড়ো করে মেলার মধ্যে প্রকাশ করার কারণে হয়তো এমন হয়েছে। এই সংস্কৃতি পাল্টানো দরকার।'

Comments

The Daily Star  | English
Sundarbans fire: Under control, not entirely doused yet

Sundarbans: All fires in 23 years were confined to only 5pc area

All fires in the Sundarbans over the last 23 years took place in just five percent area of the mangrove forest under the east forest division, said officials concerned.

17h ago