সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশের হতাশার সেশন

Dean Elgar
বাংলাদেশকে হতাশায় পুড়াচ্ছেন ডিন এলগার। ছবি- ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা

সুযোগ তৈরি হলো একাধিকবার, সুযোগ হাতছাড়াও হলো বারবার। উইকেট যেখানে মিলত পারত একাধিক, মিলল কেবল একটি। চতুর্থ দিনের আক্ষেপে ভরা সকালের সেশনে তাই ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে এক উইকেট হারিয়ে আরও  ৯৯ রান যোগ করেছে প্রোটিয়ারা। ১ উইকেটে ১০৫ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে তারা। এরমধ্যেই লিড বেড়ে হয়ে গেছে ১৭৪  রান।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স জানাচ্ছিল এই উইকেটে ২৫০ রান তাড়া করা হবে ভীষণ কঠিন। প্রোটিয়াদের ইনিংসের আভাস তারা বাংলাদেশকে দিতে যাচ্ছে আরও কঠিন কোন চ্যালেঞ্জ।

দলের ইনিংস টেনে ফিফটি করে ৬২   রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক ডিন এলগার। অথচ তাকে ৩৪ ও ৪৩ রানে দুবার ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।

২১ রানে অপরাজিত থাকা কিগান পিটারসেনও ফিরতে পারতেন। ১৫ রানে খালেদ আহমেদের বলে তার এলবিডব্লিউর আবেদন সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউও নেয়নি বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায় রিভিউ নিলে ১৫ রানে ফিরতে হতো পিটারসেনকে।

সকালে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিন থেকে মিলেছে বেশ কিছু টার্ন। ব্যাটসম্যানরা বারবার পরাস্ত হয়েছেন। কিন্তু উইকেট পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল না।

দুই ওপেনার ভালো শুরুর পর ইবাদত হোসেন বল করতে এসে দারুণ চাপ তৈরি করেন। তার স্পেলের সেই চাপ এনে দেয় উইকেট। সেরেল এরউইয়াকে ভেতরে ঢোকা বলে কাবু করেন তিনি। মাঠের আম্পায়ারের নাকচে এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত এসেছে রিভিউ নিয়ে। ৪৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

এলগার থিতু হয়ে বিপদ বাড়াচ্ছিলেন। তাকে ফেরাতে মরিয়া ছিল বাংলাদেশ। সুযোগও এলো পর পর দুবার। তা ধরে রাখা গেল না। প্রথমে মিরাজের বলে ৩৪ রানে থাকা এলগার ক্যাচ দেন স্লিপে। তা হাত লাগিয়েও জমাতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত।

৪৩ রানে সুযোগ হাতছাড়া করেন ইয়াসির আলি। এবার দুর্ভাগা বোলার ইবাদত। সকাল থেকে ইবাদতের সঙ্গে তর্কযুদ্ধ চলছিল এলগারের। তার উইকেট পেতে মরিয়া ছিলেন এলগার। পেয়েও গিয়েছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে বল দ্বিতীয় স্লিপে গিয়েছিল। কিন্তু লাগিয়ে হাত স্পর্শ করলেও বলটি ধরতে পারেননি ইয়াসির।

দুই জীবনে আর ফিফটি হাতছাড়া হয়নি এলগারের। তিনি এখন তার দলকে নিরাপদ ও শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার পথেই আছেন।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

13h ago