এমন ‘ইনকনসিসটেন্স’ আম্পায়ারিং অনেকদিন দেখেননি খালেদ মাহমুদ! 

রোববার চতুর্থ দিনে তৃতীয় সেশনে অলআউট হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলে ২০৪ রান। তাতে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৪ রানের। জবাবে শেষ বিকেলে নেমে ৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ে যায় মুমিনুল হকের দল। 
Khaled mahmud sujon
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন

ডারবান টেস্টের চতুর্থ দিনের আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তার মতে আম্পায়াররা ছিলেন 'ইনকনসিসটেন্স'। কিছু সিদ্ধান্ত তাদের পক্ষে হলে লক্ষ্যটা আরও কম থাকত বলে মত তার। 

রোববার চতুর্থ দিনে তৃতীয় সেশনে অলআউট হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলে ২০৪ রান। তাতে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৪ রানের। জবাবে শেষ বিকেলে নেমে ৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ে যায় মুমিনুল হকের দল। 

বাস্তবতায় বাংলাদেশের হারের সম্ভাবনাই এখন বেশি। তবে ম্যাচের চলমান পরিস্থিতির বাইরে আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খালেদ মাহমুদ। 

এই টেস্টে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দুই দক্ষিণ আফ্রিকান মরিস ইরাসমাস ও আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক। পুরো ম্যাচে তাদের দেওয়া ৮টি সিদ্ধান্ত রিভিউতে ওভারটার্ন হয়েছে। রিভিউ নিয়ে সফল হয়েছে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলই। 

দিনের খেলা শেষে গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে দলের পরিচালক হতাশা জানান মাঠের দুই বিচারকের সিদ্ধান্ত নিয়ে, 'অবশ্যই (হতাশ)। আমি মনে করি আম্পায়ার একটা বড় ভূমিকা পালন করেন। একটা টেস্ট ম্যাচের জন্য একটা সিদ্ধান্ত অনেক কিছু নির্ভর করে আসলে। সকাল থেকে সবাই দেখেছেন আম্পায়ারিং, এটা তো লুকানোর কিছু নেই। কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গিয়েছে যেটা আগে যদি পেতাম তাহলে হয়ত ২৭০ তাড়া না করে এখন ১৮০ তাড়া করতাম। 

'আম্পায়াদের রেসপেক্ট। তারা মাঠে বিচারক। আমাদের মেনে নিতে হবে সব সময়ই। আমরা একটা রিভিউ নিলে উইকেট পেতাম, ভয়ে নেওয়া হয়নি আসলে। এত ইনকনসিসটেন্স আম্পায়ারিং অনেক দিন পর দেখলাম সত্যি কথা বলতে।'

প্রোটিয়া দুই ওপেনারকেই রিভিউ নিয়ে ফেরায় বাংলাদেশ। ইবাদত হোসেনের বলে সেরেল এরউইয়ার এলবিডব্লিউ হোল্ডস্টক নাকচ করে দিলে রিভিউতে সফল হয় বাংলাদেশ। 

দ্বিতীয় সেশনে থিতু থাকা অধিনায়ক ডিন এলগার তাসকিনের নিচু বল ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন। তার জোরালো আবেদন নাকচ হলে আবার রিভিউতে সফলতা পায় সফরকারীরা। এর আগে এলগার আরও একবার আম্পায়ার্স কলের কারণেও রিভিউতে রক্ষা পান। এই ব্যাটসম্যানের দুই ক্যাচও ছেড়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। ৩৪ রানে নাজমুল হোসেন শান্ত ও ৪৩ রানে তাকে জীবন দেন ইয়াসির আলি।   

প্রথম সেশনে খালেদ আহমেদের বলে ১৫ রানে থাকা কিগান পিটারসেনের এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি হোল্ডস্টক। বাংলাদেশ রিভিউও নেয়নি। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় রিভিউ নিলে আসত সাফল্য। 

আম্পায়ারদের আর কোন কোন সিদ্ধান্তে তারা নাখোশ তা স্পষ্ট করেননি খালেদ মাহমুদ। এদিকে সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও সুর মিলিয়েছেন। ম্যাচের সময় টুইটে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেন সাকিব। করোনাভাইরাস মহামারি অনেকটা কেটে যাওয়ায় এটা আইসিসির দেখা উচিত বলে মত সুজনেরও,   'এখন তো সারা বিশ্বই খুলে গেছে (কোভিড বিরতির পর)। নিরপেক্ষ আম্পায়ার দেওয়ার ব্যাপারটা আশা করি আইসিসি দেখবে।'

Comments