৭০ অনুচ্ছেদ দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে স্থিতিশীল রাখা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭০ অনুচ্ছেদ আছে বলেই রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আছে। ভারসাম্য আছে। অন্য পথে যারা ক্ষমতা দখল করতে চায় তাদের কাছে ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ৭০ অনুচ্ছেদ দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে স্থিতিশীল রাখা হয়েছে, এটাই বাস্তবতা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণ দেন। ছবি: পিআইডি

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭০ অনুচ্ছেদ আছে বলেই রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আছে। ভারসাম্য আছে। অন্য পথে যারা ক্ষমতা দখল করতে চায় তাদের কাছে ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ৭০ অনুচ্ছেদ দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে স্থিতিশীল রাখা হয়েছে, এটাই বাস্তবতা।

বুধবার জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়ে কোনো ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি যদি ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন অথবা সংসদে ওই দলের বিপক্ষে ভোট দেন, তাহলে সংসদে তার আসন শূন্য হবে।

সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা প্রসঙ্গে জিএম কাদেরের সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য হলো এমন একটি দলের থেকে সংবিধানের বিষয়ে শুনতে হচ্ছে, যে দলটি ক্ষমতায় এসেছিল সংবিধান লঙ্ঘন করে, মার্শাল ল জারি করে, যে দলের নেতা ক্ষমতা দখল করেছিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতিকে বিদায় দিয়ে। সেনাপ্রধান হয়ে গেলেন রাষ্ট্রপ্রধান। তাদের কাছ থেকে আজকে আমাদের সংবিধান শিখতে হচ্ছে। সংবিধানের ব্যাখ্যা শুনতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান আছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একে তো করোনা, তারপর ইউক্রেনে যুদ্ধ। সমস্ত ইউরোপে সাড়ে ৭ ভাগের ওপরে মূল্যস্ফীতি। কোন কোন দেশে ৮০ ভাগ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি হয়ে গেছে। করোনা আর যুদ্ধের ধাক্কায় এটা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ৬ ভাগের নিচে আছে।

তিনি বলেন, জিনিসের দাম বাড়লেও মানুষের আয় বেড়েছে। দারিদ্রসীমাও হ্রাস পেয়েছে।

উন্নয়ন প্রকল্প সময়মতো শেষ না হওয়া বিষয়ে জিএম কাদেরের বক্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পায়রা পাওয়ার প্লান্ট ৮ মাস আগে উদ্বোধন করেছি। এতে প্রায় ৮০ কোটি টাকা বেঁচে গেছে। আমরা প্রত্যেকটি কাজ আগে করি কিছু টাকা বাঁচাই। কিছু কিছু জায়গায় কাজ হয়।

উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে জনভোগান্তির অভিযোগ নিয়ে সরকার প্রধান বলেন, উন্নয়ন কার জন্য? উন্নয়ন তো এদেশের সাধারণ মানুষের জন্য। মানুষ তো চলাচল করতে পারে তার জন্য। এখন হয়তো আপাতত কিছুটা কষ্ট হচ্ছে।

প্রকল্পের খরচ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনার কারণে জিনিসের দাম বেড়েছে। রড সিমেন্ট-প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। এটা কেবল আমাদের দেশে নয়, সব দেশে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার জন্য আমেরিকার অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এক ডলারের তেল চার ডলার হয়ে গেছে। কোন কিছুর দাম বাড়লে তার সঙ্গে সমন্বয় করে নিতে হয়। না হলে আমাদের কাজ সম্পন্ন হবে না।

'মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে খুব ভালো বেগুনি বানানো যায়'

নিত্যপণ্যের মূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মোটা চালের দাম এখন ৪৬ টাকার মতো আছে। সেটা খুব বেশি বাড়েনি। চিকন ‍ও মাঝারি চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। আলু পাইকারী বাজারে ২০ টাকা খুচরা বাজারে ২৫ টাকা। বেগুনের দাম ১১০ টাকার ওপরে চলে গেল। সেটা এখন কমে ৮০ টাকায় এসেছে। তা বেগুন দিয়ে বেগুনি না খেয়ে আর যেসব সবজি সহজলভ্য আছে সেটা দিয়ে খেলেই হয়। আমরা তো তাই খাই। মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে খুব ভালো বেগুনি বানানো যায়। আমরা এভাবে করি।

যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতিরিক্ত গাড়ি এখন রাস্তায় চলে। সবাই ট্রাফিক রুল মেনে চললে আর গাড়ি কম বের করলে যানজট তো থাকে না। একেকটি পরিবার দুই/তিনটি গাড়ি বের করবেন আবার যানজট হলে গালি দেবেন এটা তো চলবে না।

Comments

The Daily Star  | English

Iranian Red Crescent says bodies recovered from Raisi helicopter crash site

President Raisi, the foreign minister and all the passengers in the helicopter were killed in the crash, senior Iranian official told Reuters

4h ago