আমির অবসর ভেঙে ফিরবেন যদি বিদায় নেন রমিজ

mohammad amir
মোহাম্মদ আমির। ছবি: এএফপি

মোহাম্মদ আমির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে গেছেন ২০২০ সালের শেষদিকে। বাঁহাতি এই পেসারের আবার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফেরার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। তবে সেটা ঘটতে পারে কেবল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বর্তমান চেয়ারম্যান রমিজ রাজার বিদায়ের পর।

ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও জাতীয় দলের এক সময়ের সতীর্থ ইমরান খানের আশীর্বাদেই রমিজ বসেছেন পিসিবির সর্বোচ্চ আসনে। কিন্তু রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে ইমরান হারিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব। গত শনিবার মধ্যরাতে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। তাতে রমিজের পিসিবি চেয়ারম্যানের পদও পড়ে গেছে শঙ্কায়।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ সোমবার তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেন ২৯ বছর বয়সী আমির। তবে সেটা নির্ভর করছে রমিজের পিসিবি প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়ার ওপর। তিনি সরে দাঁড়ালে আমিরকে আবারও দেখা যাবে পাকিস্তানের জার্সিতে।

ছবি: টুইটার

রমিজ পদত্যাগ করলে তার জায়গায় নাজাম শেঠির ফেরার সম্ভাবনা জোরালো। ২০১৮ সালে ইমরান সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যানের পদ। নাজামের সঙ্গে আবার আমিরের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভালো।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সময় বোর্ডের কাছে মানসিক অত্যাচারের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন আমির। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, তাকে নিয়ে সারাক্ষণ উপহাস করা হতো দলের মধ্যে। ফিক্সিংয়ের দায়ে এক সময় নিষিদ্ধ হওয়া এই বোলারের অভিযোগের মূল তীর ছিল পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধান কোচ মিসবাহ উল হক ও বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুসের বিরুদ্ধে।

সেসময় আমির দুজনের নাম উল্লেখ করেছিলেন, যারা তাকে সর্বাত্মক সহায়তা করেছিলেন। তাদের একজন ছিলেন নাজাম। তিনি বলেছিলেন, 'আমি কেবল দুজন লোকের কথা বলব, যারা আমার ওপর বিনিয়োগ করেছিলেন- (পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান) নাজাম শেঠি ও (সাবেক অধিনায়ক) শহিদ আফ্রিদি।'

জিও নিউজ এর আগে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীত্ব হারানো ইমরানের সঙ্গে কথা বলে নিজের ভবিষ্যতের বিষয়ে পরামর্শ নিয়েছেন রমিজ। দুবাইয়ে আইসিসির সভা থেকে ফিরে পদ ছাড়তে পারেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

6h ago