বিশ্ব রেকর্ডেও নাম উঠল বিজয়ের
লিস্ট-এ স্বীকৃতি পাওয়ার পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন আগেই, প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্পর্শ করেন হাজার রানও। এখন জানা যাচ্ছে, কোন লিস্ট-এ টুর্নামেন্টে বিশ্ব রেকর্ডেই নাম উঠে গেছে এনামুল হক বিজয়ের।
বাংলাদেশ তো বটেই, এখন পর্যন্ত লিস্ট-এ স্বীকৃত আসরে বিজয়ই প্রথম কোন ব্যাটসম্যান যিনি স্পর্শ করলেন এক হাজার রান। রেকর্ড গড়ার পথে বিজয় ছাড়িয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার টম মুডিকে। ৩১ বছর আগে ১৯৯১ সালে ইংলিশ কাউন্টি দল ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে সানডে লিগে ১৫ ম্যাচে মুডি করেছিলেন ৯১৭ রান। তাকে ছাড়িয়ে ১৪ ম্যাচে বিজয়ের রান এখন ১০৪২।
এই তালিকায় বিজয় ছাড়া সেরা পাঁচজনের বাকি চারজনই রান করেন ইংলিশ কাউন্টিতে। তৃতীয় স্থানে থাকা জিমি কক সামারসেটের হয়ে ১৯৯০ সালে সানডে লিগে করেছিলেন ৯০২ রান। ২০১০ সালে প্রো-৪০ (৪০ ওভারের আসর) টুর্নামেন্টে ইয়র্কশায়ারের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৮৬১ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক রুডলফ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্ল হুপার কেন্টের হয়ে ১৯৯৩ সালে সানডে লিগে ১৬ ম্যাচে করেন ৮৫৪ রান।
মঙ্গলবার রূপগঞ্জ টাইগার্সকে উড়িয়ে দিতে ৮৪ বলে অপরাজিত ১১২ রানের ইনিংস খেলেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের এই ওপেনার।
এবার প্রিমিয়ার লিগে ১৪ ম্যাচে চোখ ধাঁধানো ৮০.১৫ গড় আর ৯৭.৪৭ স্ট্রাইকরেট রেখে ১ হাজার ৪২ রান করেন তিনি। বাকি আছে আরও এক ম্যাচ। পুরো টুর্নামেন্টে তার ব্যাট থেকে আসে ৮ ফিফটি আর তিন সেঞ্চুরি।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ লিস্ট-এ স্বীকৃতি পায় ২০১৩ সালে। এরপর থেকে ২০১৯ সালে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে সাইফ হাসানের ৮১৪ রানই ছিল সর্বোচ্চ।
লিস্ট-এ স্বীকৃত পাওয়ার আগে অবশ্য ২০১১-১২ মৌসুমে মুশফিকুর রহিম ১৬ ম্যাচে ৯৫১ রান করেন। ২০০১ সালে মোহামেডানের হয়ে ১৬ ইনিংসে ৯৪.৩৮ গড় ও ১১২.২৫ স্ট্রাইক রেটে ১২২৭ রান করেছিলেন কেনিয়ার স্টিভ টিকালো। কিন্তু স্বীকৃত না হওয়ায় তা রেকর্ডভুক্ত হয়নি।
এমন অর্জনের পর এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। তিনি এত রান করলেও যে দল শিরোপা জেতার কোন পরিস্থিতিই তৈরি করতে পারেনি, 'এরকম কোন লক্ষ্য ছিল না যে এক হাজার রান করব, লক্ষ্য ছিল দলকে চ্যাম্পিয়ন করব, সেটা হয়নি। চেষ্টা করেছি বড় রান করার, ধারাবাহিকতা রাখার। সেটা করতে পেরেছি।'
Comments