ভোজ্য তেলের সংকট: সম্পৃক্ততা পেলে ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

ছবি: স্টার

ভোজ্য তেলের সংকটের পেছনে ডিলারদের সম্পৃক্ততা পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে তেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন। চলমান সংকট নিয়ে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন আজ এই বক্তব্য দিয়েছে।

বাজারে সয়াবিন তেলের সংকটের মধ্যে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে ব্যবসায়ী, মিলারসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, 'ব্যবসায়ীদের আমি বিশ্বাস করে বলেছিলাম আপনারা দাম বাড়াবেন না। কিন্তু তারা দাম বাড়িয়েছে। তাদের ভালোবেসে বিশ্বাস করেছিলাম যে আপনারা দাম বাড়াবেন না। কিন্তু তাদের বিশ্বাস করা ছিল আমার ব্যর্থতা।'

বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের একদিন পর আজ তেল পরিশোধন ও বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি কারসাজির সঙ্গে জড়িত ডিলারদের খুঁজে বের করার ঘোষণা দিলো। প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা বলেছে, ডিলারদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোজ্য তেলের সংকটের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীও ডিলারদের দায়ী করেছিলেন। গতকাল তিনি বলেন, 'বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট কেন তৈরি হলো, আমরা তা খুঁজে পেয়েছি। এই কারচুপি বড় গ্রুপের কেউ করেনি। করেছে ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। যারা কারসাজি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। ডিলারশিপ বাতিল করতে মালিকদের বলেছি।'

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ব্যবসায়ীরা বেশ কয়েকবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে নতুন করে দাম বাড়াতে রাজি হয়নি সরকার৷

তখন তেলের উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ২০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করে দাম কিছুটা কমিয়ে আনার চেষ্টাও করা হয়। পাশাপাশি, রোজার মাসে দাম না বাড়ালেও ঈদের পর বাজার পর্যালোচনার আশ্বাস দেওয়া হয়৷

কিন্তু চলতি মাসের শুরুতে ঈদের আগে খুচরা বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় সয়াবিন তেল৷ এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিল মালিকরা আলোচনা শেষে তেলের দাম লিটারে ৪০ টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করে।

এদিকে নতুন দর কার্যকর হওয়ার পঞ্চম দিনেও বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও পাড়া–মহল্লার অনেক দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।

দোকানদাররা বলছেন, ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণন করা কোম্পানিগুলোর পরিবেশকেরা সরবরাহ আদেশ নিতে এখন পর্যন্ত আসেনি। আবার কেউ কেউ আসলেও এখন পর্যন্ত তেল সরবরাহ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh continues to perform poorly in budget transparency

Bangladesh has continued to showcase a weak performance in the open budget rankings among its South Asian peers, reflecting a lack of transparency and accountability in the formulation and implementation of fiscal measures.

15h ago