‘আব্বারে খুঁজে পাইতেছি না’

ফাতেমা বেগম। ছবি: সিফায়াত উল্লাহ/স্টার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকেই যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের খোঁজে ছুটছেন স্বজনরা।

কখনো আগুনে ভস্ম হওয়া কারখানার সামনে, আবার কখনো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে। সকলের হাতেই নিখোঁজ স্বজনের ছবি।

হাসপাতাল মর্গের পাশে মো. ফারুকের (৫০) ছবি হাতে নিয়ে আহাজারি করে তার মেয়ে ফাতেমা বেগম বলছিলেন, 'আব্বারে খুঁজে পাইতেছি না।'

তিনি আরও বলেন, 'শেষ বারের মতো একবার দেখমু। রাত থেকে আব্বার জন্য অপেক্ষা করতাছি।'

নিখোঁজ ফারুক ওই ডিপোতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

ডিপো অপারেটর মনির হোসেনের ছবি হাতে অপেক্ষা করছিলেন তার বড় ভাই আবদুল করিম।

তিনি বলেন, 'আমার ভাই সম্প্রতি বিয়ে করেছে। তার স্ত্রী প্রেগন্যান্ট। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে মনিরের সঙ্গে তার স্ত্রীর সবশেষ কথা হয়েছে। মনিরকে খুঁজে পাচ্ছি না।'

আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাওয়া কবর অনুযায়ী, মোট ৩০ জনের মরদেহ হাসপাতালগুলোতে রয়েছে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ আউটপোস্টের এএসআই আলাউদ্দিন জানান, চমেক হাসপাতালে মোট ২৯ জনের মরদেহ এসেছে।

এ ছাড়া, বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে রয়েছে একজনের মরদেহ।

Comments

The Daily Star  | English

DU JCD leader stabbed to death on campus

Shahriar Alam Shammo, 25, was the literature and publication secretary of the Sir AF Rahman Hall unit of Jatiyatabadi Chhatra Dal

5h ago