যুক্তরাজ্যের ৭০ কোম্পানিতে কর্মঘণ্টা কমিয়ে সপ্তাহে ৪ দিন অফিস

বিশ্বব্যাপী সুস্বাস্থ্য ও কর্মদক্ষতা উন্নয়নের সম্ভাব্য কৌশল হিসেবে সপ্তাহে ৪ দিন কর্মদিবস প্রবর্তনের চেষ্টা চলছে। এ লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ৩ হাজার ৩০০ জনের বেশি কর্মী সপ্তাহে ৪ দিন করে অফিস করছেন। 
ছবি: এনবিসি নিউজ

বিশ্বব্যাপী সুস্বাস্থ্য ও কর্মদক্ষতা উন্নয়নের সম্ভাব্য কৌশল হিসেবে সপ্তাহে ৪ দিন কর্মদিবস প্রবর্তনের চেষ্টা চলছে। এ লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ৩ হাজার ৩০০ জনের বেশি কর্মী সপ্তাহে ৪ দিন করে অফিস করছেন। 

দেশটির প্রায় ৭০টি কোম্পানি পরীক্ষামূলকভাবে ৬ মাসের জন্য সপ্তাহে ৪ কর্মদিবস কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। 

কর্মজীবনে সমন্বয় ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে।

'সপ্তাহে ৪ দিন কর্মদিবস আন্দোলনের কেন্দ্রে রয়েছে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য। ফোর ডে ইউক গ্লোবাল-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জোয়ে ও'কনার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, 'করোনাভাইরাস মহামারির কারণে অধিকাংশ কোম্পানি স্বীকার করেছে যে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জীবনযাত্রার মান। কর্মঘণ্টা কমানো ও উৎপাদনকেন্দ্রীক কাজ এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।' 

আয়োজকরা জানিয়েছেন, ৬ মাসের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা সপ্তাহে ৪ কর্মদিবসে কর্মীরা যদি আগের সমপরিমাণ কাজ করতে পারে তাহলে তাদের বেতন কমবে না। 

সপ্তাহে ৫ পাঁচ কর্মদিবসের সেই ২০ শতকের ধারণা ২১ শতকের জন্য অনুপযুক্ত উল্লেখ করে চ্যারিটি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যাড সিগেল বলেছেন, 'আমরা বিশ্বাস করি বেতন বা অন্যান্য সুবিধা না কমিয়েও সপ্তাহে ৪ কর্মদিবস প্রবর্তন সুখী কর্মপরিবেশ তৈরি করবে এবং কর্মদক্ষতা ও গ্রাহক সন্তুষ্টিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।' 

বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ও যুক্তরাজ্যের ৪ কর্মদিবস পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করবে। 

বোস্টন কলেজের একজন অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী জুলিয়েট স্কোর বলেছেন, তিনি কোম্পানি এবং কর্মচারীদের কাজের ফলাফল এবং তাদের সন্তুষ্টি ও কাজের পরিবেশগত প্রভাব পরিমাপ করতে ফোর ডে ইউক গ্লোবালের সঙ্গে কাজ করছেন।

এ ছাড়া কানাডা, আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ৪ দিন কর্মদিবস পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করছে। 

তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'প্রাথমিক তথ্য হলো, কাজের সময় হ্রাসের ফলে স্ট্রেস লেভেল, ক্লান্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সার্বিকভাবে জীবনমানের সন্তুষ্টিতে সত্যিই ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Three difficult choices to heal economy

Bangladesh yesterday made three major decisions to cushion the economy against critical risks such as stubborn inflation and depletion of foreign currency reserves.

7h ago