ঢাবি ক্যাম্পাসে চায়ের দোকানও রাত ৮টায় বন্ধ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে রাত ৮টার পর সব দোকান বন্ধ রাখছেন দোকানিরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে তাদের।
ছবি: সিরাজুল ইসলাম রুবেল/স্টার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে রাত ৮টার পর সব দোকান বন্ধ রাখছেন দোকানিরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে তাদের।

চায়ের দোকানগুলোকে কেন্দ্র করেই টিএসসিসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় আড্ডা জমলেও এখন সন্ধ্যার পর পরই এলাকাগুলো নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে রাত ১0টা পর্যন্ত পড়াশোনা করেন শিক্ষার্থীরা। মেয়েদের হলগুলোও ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে দেশে রাত ৮টার পর থেকে দোকান, মার্কেট, বিপণিবিতান বন্ধ রাখার সরকারি আদেশ গত ২০ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে। যেসব দোকানে জ্বালানি বেশি খরচ হচ্ছে সরকার মূলত সেসব দোকান ও মার্কেট বন্ধ রাখতে বলেছে।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চায়ের দোকানে তুলনামূলকভাবে সামান্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ হলেও এসব দোকান রাত ৮টার পর বন্ধ রাখা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, দোকান বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সবাইকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।'

রাত ৮টায় এই প্রতিবেদক টিএসসি'র একজন চা দোকানির সঙ্গে কথা বলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চায়ের দোকানি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '৮টা বেজে গেছে, দোকান বন্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

এতো দ্রুত দোকান গুটানোর কারণ জানতে চাইতে তিনি বলেন, '৮টার পর দোকান খোলা রাখলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের লোকেরা এসে ধমক দিয়ে বন্ধ করে দেয়।'

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সাদিকুল ইসলাম সাদিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চায়ের দোকানে তো বিপণি বিতানের মতো বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে না। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে খেয়াল করেছি যে রাত ৮টার পর চায়ের দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়াও একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের সিদ্ধান্ত সমর্থন করি না।'

তবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভাসমান দোকান আগের চেয়ে বেড়েছে। এসব দোকান ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ক্যাম্পাসে কোনো বৈধ দোকান নেই। অবৈধ দোকান ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করছে। এগুলো উচ্ছেদে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।'

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর সারা দেশে দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপণিবিতান খোলা না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Beyond Dollar: Bangladesh to seek over 36b yuan in Chinese loans

Bangladesh is going to seek more than 36 billion yuan, equivalent to $5 billion, as soft loans from China to reduce pressure on its dollar reserves.

7h ago