জেলা পরিষদ নির্বাচন: ফরিদপুরে আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা
ফরিদপুরে আগামী ১৭ অক্টোবর আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ ফারুক হোসেন দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আরিফ, কেন্দ্রীয় নেতা বিপুল ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য সচিব আইভি মাসুদসহ দলীয় র্শীষ নেতাকর্মীরা।
এর আগে বুধবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন। এসময় ভাঙা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সদরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান ও চরভদ্রাসনের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কাউসার উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া চেয়ারম্যান পদে আরও ২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন অধ্যাপক এম এ আজিজ ও মো. নূর ইসলাম সিকদার।
এদিকে ৯টি সদস্য পদের বিপরীতে ৪৪ জন ও ৩ জন সংরক্ষিক মহিলা সদস্যের বিপরীতে ১২জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাত হোসেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক। ফরিদপুর -৪ আসনের এমপি ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী তাকে সমর্থন দিয়েছেন। জেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণার পরে ভাঙা ও সদরপুরে একাধিক জনসভায় শাহদাত হোসেনকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন তিনি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফারুক হোসেন যু্বলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ।
দলের বাইরে গিয়ে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র কেন দাখিল করলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে যুবলীগের কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, 'আমার নেতা ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি নিক্সন চৌধুরীর নির্দেশে এবং তৃণমূল ভোটারদের ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে আমি প্রার্থী হয়েছি। ইনশাল্লাহ আমি জয়ী হবো।'
অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক হোসেন বলেন, 'আওয়ামী লীগ করে দলীয় প্রধানের নির্দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনকে কেন্দ্রীয়ভাবে দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ প্রার্থী হয়ে থাকলে তিনি অবশ্যই দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন।'
ফরিদপুর জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানান, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ২৫ সেপ্টেম্বর প্রত্যাহার, ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
আর আগামী ১৭ অক্টোবর সোমবার জেলার ৯টি কেন্দ্রে ইভিএময়ের মাধ্যমে ১ হাজার ১৮১ জন ভোটার ভোট দেবেন।
Comments