গ্রিন-ওয়েডের নৈপুণ্যে ভারতকে হারিয়ে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া
লোকেশ রাহুল ও সূর্যকুমার যাদব দিলেন বড় সংগ্রহের ভিত। সেখানে দাঁড়িয়ে আরও বড় ঝড় তুললেন হার্দিক পান্ডিয়া। ভারত পেল দুইশ ছাড়ানো পুঁজি। বড় লক্ষ্য তাড়ায় ক্যামেরন গ্রিন অস্ট্রেলিয়াকে বেঁধে দিলেন সুর। অক্ষর প্যাটেল ও উমেশ যাদব পাল্টা আঘাত হানলেও তা যথেষ্ট হলো না। সাতে নামা ম্যাথু ওয়েডের নৈপুণ্যে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল সফরকারীরা।
মঙ্গলবার মোহালির পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেটে জিতেছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ২০৮ রান তোলে স্বাগতিক ভারত। জবাবে ৪ বল হাতে রেখে ২১১ রান তুলে জয়ের বন্দরে নোঙর করে অজিরা। এতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল তারা।
এই সংস্করণে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ও সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার কীর্তি এটি। দুই দলের লড়াইয়ে আগের রেকর্ড হয়েছিল ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরুতে। ১৯১ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে গিয়েছিল ৭ উইকেট হাতে রেখে।
অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক ম্যাচসেরার পুরস্কার বগলদাবা করা তরুণ অলরাউন্ডার গ্রিন। বল হাতে ইনিংসের শেষ তিন বলে টানা ছক্কা হজম করার ক্ষতি পরে ব্যাট হাতে পুষিয়ে দেন। জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার ওপেনিংয়ে নেমে তিনি ৩০ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৮ চার ও ৪ ছক্কা। ২১ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ ওয়েড।
অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি টেকেননি। তৃতীয় উইকেটে রাহুল ও সূর্যকুমার ৪২ বলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন। তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করেন জস হ্যাজেলউড। ন্যাথান এলিসের হাতে ক্যাচ দেওয়া রাহুল ৩৫ বলে ৫৫ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। সূর্যকুমারের ইনিংস থামান গ্রিন। তিনি ২ চার ও ৪ ছয়ে ২৫ বলে করেন ৪৬ রান।
এরপর অজি বোলারদের ওপর একাই তাণ্ডব চালান অলরাউন্ডার হার্দিক। তার কল্যাণে স্কোরবোর্ডে শেষ ৫ ওভারে ৬৭ রান তোলে ভারত। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটির স্বাদ নেন নেন তিনি। মাত্র ৩০ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন। এলিস ৩ উইকেট নেন ৩০ রানে।
কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে ফিঞ্চের তোলা ঝড় স্থায়ী হয়নি। তবে গ্রিন এগোতে থাকেন আপন মহিমায়। সঙ্গী হিসেবে পান স্টিভেন স্মিথকে। দ্বিতীয় উইকেটে আসে ৪০ বলে ৭০ রান। এরপর ৩৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।
একাদশ ওভারে অক্ষরের বলে টপ এজ হয়ে কোহলির তালুবন্দি হন গ্রিন। পরের ওভারে চার বলের মধ্যে স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে বিদায় করেন প্রায় সাড়ে তিন বছর পর এই সংস্করণে খেলতে নামা পেসার উমেশ। অফ স্পিনার অক্ষরের তৃতীয় শিকার হন জন ইংলিস।
অজিদের জার্সিতে অভিষিক্ত টিম ডেভিডকে একপাশে রেখে এরপর ভারতের বোলারদের ওপর চড়াও হন ওয়েড। এতে শেষ ২৪ বলে ৫৫ রানের সমীকরণ মিলে যায় আগেভাগে। ১৭ ও ১৯তম ওভারে যথাক্রমে ১৫ ও ১৬ রান দেন ভুবনেশ্বর কুমার। মাঝে হার্শাল প্যাটেল খরচ করেন ২২ রান। ডেভিড আউট হওয়ার পরের বলে চার মেরে খেলা শেষ করেন প্যাট কামিন্স।
ভুবনেশ্বর সবমিলিয়ে ৫২ রান দেন। আরেক রান বিলিয়ে দেওয়া পেসার হার্শাল খরচ করেন ৪৯। বাকিদের ব্যর্থতার ভিড়ে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন অক্ষর। ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে মাত্র ১৭ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি।
Comments