বিপিএলে বিদেশি খেলোয়াড় সংকটে এবার নিয়মে ছাড় দিবে বিসিবি

বিপিএলের সময়টাতেই বিশ্বজুড়ে চলবে আরও তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকার লিগের মালিকানায় আবার আইপিএলের দলগুলো। বিদেশি মাঝারি মানের বেশিরভাগ তারকাও এরমধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছেন।
বিপিএলের গেল আসরে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ দু প্লেসি। এবার তার মানের তারকাদের বিপিএলে খুব একটা দেখা যাবেনা । ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বিপিএলের সময়টাতেই বিশ্বজুড়ে চলবে আরও তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকার লিগের মালিকানায় আবার আইপিএলের দলগুলো। বিদেশি মাঝারি মানের বেশিরভাগ তারকাও এরমধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছেন। বিপিএলে বিদেশি খেলোয়াড়ের সংকট হওয়ার আশঙ্কা করছেন গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। সেজন্য নিয়মের উদার হওয়ার কথা বলছেন তিনি।

আসছে ৬ জানুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা বিপিএলের নবম আসর। এরমধ্যে আগামী তিন বছরের জন্য সাতটি সম্ভাব্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ঠিক করেছে বিসিবি। অর্থনৈতিক বিষয় নিষ্পত্তি হয়ে গেলে এই সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিই চূড়ান্ত হবে।

দলগুলো প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে একজন স্থানীয় তারকাকে সরাসরি দলে নিতে পারবে। আর ড্রাফট ছাড়াও বিদেশিদের দলে নেওয়া যাবে যখন তখন, সোমবার মিরপুরে গণমাধ্যমে এমনটাই জানান মল্লিক,  'স্থানীয় খেলোয়াড়দের একটা সরাসরি সাইনিং আমরা এলাউ করব। বাকি সব  ড্রাফট থেকে নিতে হবে। আর বিদেশিদের ব্যাপারে আপনারা জানেন যে সাউথ আফ্রিকান লিগ, ইউএই লিগ এসবে ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজিরাই মালিকানা নিয়েছে। বেশিরভাগ বিদেশি খেলোয়াড় ওইদিকে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছে। আমরাও টুর্নামেন্টটা এগুতে বা পেছাতে পারছি না জাতীয় দলের ব্যস্ততার জন্য। সেক্ষেত্রে যে জিনিসটা হচ্ছে বিদেশি খেলোয়াড় সর্বোচ্চ চারজন খেলতে পারবে একটা দলে তবে মাঠে সর্বনিম্ন দুজন যেন থাকে এরকম পরিকল্পনা করছি। বিদেশি খেলোয়াড়ের রেজিস্ট্রশনেও বাধ্যবাধকতা রাখব না। ধরেন কেউ তিনদিনের জন্য এসে খেলে গেলেও তার বদলি আরেকজন আসতে পারে আরকি।'

খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক

ড্রাফটের বাইরে থেকে সরাসরি দলে নেওয়া খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক খেলোয়াড় নিজে ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলে ঠিক করবে। সেক্ষেত্রে আগেরবারের মতো কোন বাধ্যবাধকতা নেই। বাকিদের জন্য ড্রাফট থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির তালিকা জানালেন মল্লিক, 'স্থানীয় ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আমরা ৮০ লাখ রাখব। এটা ড্রাফট থেকে যাবে। আর সরাসরি সাইনিং সর্বোচ্চ বলে কিছু না। এটা খেলোয়াড় ও ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ঠিক করে। বিদেশিদের ক্ষেত্রেও ড্রাফট থেকে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ডলার।'

ড্রাফটে এ গ্রেড  ৮০ লাখ, বি গ্রেড ৫০ লাখ, সি গ্রেড ৩০ লাখ, ডি গ্রেড ২০ লাখ, ই গ্রেড ১৫ লাখ , এফ গ্রেড ১০ লাখ, জি গ্রেডের খেলোয়াড়ের মূল্য থাকবে ৫ লাখ টাকা।

মল্লিক জানান, বিদেশি সরাসরি কতজন সাইনিং করানো যাবে তারও সীমাবদ্ধতা রাখতে চান না তারা, 'ফরেন সরাসরি সাইনিং লিমিটেশন রাখতে চাই না। আইপিএল ছাড়া অনেক টুর্নামেন্ট এখন, কাজেই ফরেন প্লেয়ার পাওয়াটাই এখন কঠিন।'

Comments

The Daily Star  | English
Workers rights vs corporate profits

How some actors gambled with workers’ rights to save corporate profits

The CSDDD is the result of years of campaigning by a large coalition of civil society groups who managed to shift the narrative around corporate abuse.

10h ago