পর্তুগিজরা অসুস্থ, ইতর ও অকৃতজ্ঞ: রোনালদোর বোন

'যতো কম রোনালদো, ততো বেশি পর্তুগাল।' ঠিক এই শিরোনামেই সংবাদ প্রকাশ করেছে পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম 'এ বোয়া'। শুধু এই একটি নয়, স্থানীয় সকল সংবাদমাধ্যমে ক্রিস্তিয়ানোর রোনালদোকে অবসরে যাওয়ার জোর দাবি উঠেছে। সামাজিকমাধ্যমেও চলছে তার সমালোচনা। অনেক সাবেক ফুটবলার ও ফুটবল পন্ডিতরাও একই পরামর্শ দিচ্ছেন তাকে। আর এ সকল বিষয়ে বেজায় খেপেছেন রোনালদোর বোন কাতিয়া আভিয়েরো।

দুদিন আগে স্পেনের বিপক্ষে হেরে নেশন্স লিগ থেকে বিদায় নেয় পর্তুগাল। অথচ ম্যাচে কোনোমতে হার ঠেকাতে পারলেই সেমি-ফাইনালে উঠত তারা। তবে ম্যাচটি উল্টো জিততে পারতো দলটি। একেবারে সহজ কিছু সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি রোনালদো। একবার তো গোলরক্ষককে একা পেয়েও মিস করেন। তাই পর্তুগালের বিদায়ে রোনালদোর বড় দায় দেখছেন সমর্থকরা।

আর এ কারণেই খেপেছেন রোনালদোর বোন। নিঃসন্দেহে পর্তুগাল তথা ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড় রোনালদো। ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। তাকে নিয়ে সমালোচনা উচিৎ মনে করছেন কাতিয়া, 'বর্তমান সময় আমাকে খুব একটা বিস্মিত করে না। আমি অনেক আগে থেকে দেখেছি পর্তুগিজদের অনেকে যে পাতে খায় সেই পাতে থুতু দেয়। যারা সবসময় পর্তুগালের পাশে ছিল তাদের প্রশংসা করা উচিৎ। কিন্তু পর্তুগিজরা (সমর্থকরা) অসুস্থ, ইতর, ছোটলোক... এবং সারাজীবন অকৃতজ্ঞ।'

অবশ্য দুঃসময়ে রোনালদোর পাশে থাকা নতুন কিছু নয় কাতিয়ার জন্য। এর আগেও ভাইয়ের যে কোনো বাজে পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষকে তোপ দাগিয়েছেন তিনি। মূলত পুরো পরিবারই আগলে রাখার চেষ্টা করেন রোনালদোকে। তবে এভাবে সমর্থকদের সরাসরি আক্রমণ খুব কমই করেছেন তারা।

তবে রোনালদোর সমালোচনা থামছে না এতে। রোনালদোর যেন শেষ দেখে ফেলেছেন পর্তুগিজ সমর্থকরা। কারণ শুধু জাতীয় দল নয়, ক্লাব ফুটবলেও ব্যর্থ তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তো প্রথম একাদশেও নিয়মিত নন। মৌসুমে লিগের ম্যাচে মাত্র দুটিতে শুরু করতে পেরেছেন। সেই দুটি ম্যাচই আবার হেরেছে ইউনাইটেড। ইউরোপা লিগেও প্রায় একই অবস্থা। তার শুরু করা দুই ম্যাচের একটিতে হার দেখেছে দলটি। জয়টা এসেছে দুর্বল প্রতিপক্ষ এফসি শেরিফের বিপক্ষে। পেনাল্টি থেকে পাওয়া এ মৌসুমে রোনালদোর একমাত্র গোলটাও এই প্রতিপক্ষের সঙ্গেই।

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

10h ago