সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামার ব্যাখ্যা দিলেন সাকিব
তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এমনকি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও নেই। অভিজ্ঞতার দিক থেকে দলে সবার চেয়ে এগিয়ে সাকিব আল হাসান। দলের অধিনায়ক ও দেশ সেরা ক্রিকেটারও তিনি। সেই সাকিবই কি-না ব্যাটিংয়ে নামলেন সাত নম্বরে। অথচ স্বাভাবিকভাবে তিন নম্বরে ব্যাট করে থাকেন এ অলরাউন্ডার।
সাকিবের সাত নম্বরে নামা বেশ বিস্ময়ই ছড়িয়েছে ক্রিকেট অঙ্গনে। আগে নামলে হয়তো বাংলাদেশের ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে কিছুটা প্রাণ ফেরাতেও পারতেন। কিন্তু ডানহাতি বাঁহাতি কম্বিনেশনের কারণেই কি-না সাত নম্বরে যেতে হয় অধিনায়ককে!
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাত নম্বরে নামার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সাকিব বলেন, 'আমার আরও উপরের দিকে ব্যাট করার কথা ছিল, কিন্তু দুই স্পিনার বোলিং করছিল এবং আমরা ডানহাতি ও বাঁহাতি সমন্বয় চেয়েছিলাম।'
তবে যুক্তিটা খুব একটা অকাট্য হয়নি সাকিবের। কারণ চাইলেই চার নম্বরে নামতে পারতেন এ অলরাউন্ডার। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মিরাজের বিদায়ে মাঠে আসেন লিটন দাস। এরপর লিটন যখন আউট হন তখন মাঠে নামেন আফিফ হোসেন। মাঠে তখন ছিলেন দুই বাঁহাতি।
ডান হাতি ও বাঁহাতির এ কৌশল অবশ্য কাজে লাগেনি বাংলাদেশের। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে কোনোমতে ১৩৭ রান তুলতে পেরেছিল টাইগাররা। যে লক্ষ্য পার হতে ১৭.৫ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয় নিউজিল্যান্ডকে। হারায় মাত্র ২টি উইকেট।
হারের ব্যাখ্যা দিয়ে সাকিব বলেন, 'আমার মনে হয় ব্যবহৃত উইকেটে তাদের (নিউজিল্যান্ড) স্পিনাররা ভালো বল করেছে। আমরা ভালো সূচনা করেছি, কিছু বড় শট খেলার চেষ্টা করেছি। তবে মাঝখানে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলি এবং এরপর আর কখনো মোমেন্টাম ফিরে পাইনি। সেরা চার ব্যাটারের মধ্যে অন্তত দুই জনকে ১৫-১৬ ওভার পর্যন্ত খেলতে হবে।'
এমন সহজ হারের পরও ইতিবাচক দিক দেখছেন অধিনায়ক, 'বোলাররা উভয় ম্যাচেই ভালো করেছে এবং ফিল্ডিংও ভালো হয়েছে, এগুলোই ইতিবাচক দিক। যদিও আমাদের ব্যাটিংয়ে কাজ করতে হবে। আপনি যখন খেলা হারছেন তখন শক্তির মাত্রা বেশি রাখা কঠিন, কিন্তু আমরা বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে মোমেন্টাম পেতে চাই।'
ত্রিদেশীয় এ সিরিজে এখনও দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে বাংলাদেশের। সেই ম্যাচে ভালো করতে মুখিয়ে আছেন সাকিব, 'আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব, আমাদের সামনে আরও কয়েকটি ম্যাচ রয়েছে, সেগুলি দিনের খেলা এবং আমাদের জন্য আরও ভালো হতে পারে।'
Comments