বিশ্বকাপ দলে ফিরলেন সৌম্য-শরিফুল, বাদ সাব্বির-সাইফউদ্দিন
গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জনটা ভেসে বেড়াচ্ছিল দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে। কোনো ধরণের ইনজুরি সমস্যা ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে আসতে যাচ্ছে পরিবর্তন। শেষ পর্যন্ত সে গুঞ্জনই সত্যি হয়েছে। স্ট্যান্ডবাই থেকে সৌম্য সরকার ও শরিফুল ইসলামকে দলভুক্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাদ পড়েছেন সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্বকাপ দলে পরিবর্তনের কথা জানায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী শনিবার (১৫ অক্টোবর) পর্যন্ত অনুমোদন ছাড়াই সুপার টুয়েলভে থাকা দলগুলো স্কোয়াডে পরিবর্তন আনার সুযোগ দিয়েছিল আইসিসি। আর সে সুযোগটাই নিয়েছে বিসিবি।
কিছুটা চমক উপহার দিয়ে গত এশিয়া কাপে সাব্বির রহমানকে স্কোয়াডে ফিরিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেখানে একটি ম্যাচ খেলে ব্যর্থ হলেও ছিলেন বিশ্বকাপের দলে। তবে নিউজিল্যান্ডে সদ্য শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হওয়ায় বাদ পড়ে যান তিনি।
জাতীয় দলে ফেরালেও সাব্বিরকে নিজের সাধারণ পজিশন ছেড়ে খেলানো ওপেনার হিসেবে। মেক-শিফট ওপেনার ব্যর্থ হয়েছেন প্রতি ম্যাচেই। জাতীয় দলে ফিরে ৪ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৩১ রান। সৌম্যও অবশ্য দুটি ম্যাচ খেলে আহামরি কিছু করেননি। তবে তার ইতিবাচক মানসিকতা পছন্দ হয় ম্যানেজমেন্টের।
এছাড়া অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের পারফরম্যান্সও ছিল বিবর্ণ। ধারাবাহিকভাবে বেদম পিটুনি খেয়েছেন বল হাতে। ব্যাট হাতেও ব্যর্থ। ফেরার পর পাঁচ ম্যাচে বোলিং করে ১০.৮৭ ইকোনমি রেটে পেয়েছেন তিনটি উইকেট। ব্যাটিংয়ে তিন ইনিংসে আসে মাত্র ৪ রান।
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডে সুযোগ পেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো করেছিলেন শরিফুল। তাই সুযোগটা পেয়ে গেলেন এ পেসার। বাদ পড়ার তালিকায় নাম ছিল ইবাদত হোসেনেরও।
সৌম্য ও শরীফুল স্ট্যান্ডবাই থেকে দলে আসলেও বাদ পড়া সাব্বির ও সাইফউদ্দিন স্ট্যান্ডবাইয়ে থাকবেন কি না, সেটি নিশ্চিত করে জানায়নি বিসিবি। তবে দুজনই নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ স্কোয়াড
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ ও ইবাদত হোসেন।
Comments